দেশের মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সমর্থন পাবেনা জেনেই নির্বাচন করছে না। তাদের অপকর্ম দেশের মানুষ জানে। কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কাউকে নির্বাচন করতে বাধা সৃষ্টি করিনি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে।
আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শুরু করেছে। এ উৎসবকে নষ্ট করতে যারা হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে তাদের হরতাল অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের কোন সমর্থন তাদের প্রতি নেই। তাই তারা চাইলেও নির্বাচনে বানচাল করতে পারবে না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এটি পরিচালনা করেন। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যার দিকে সব বিষয়ে তাকিয়ে থাকে। তিনি যা নির্দেশ দেন সবাই তাই পালন করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সুনির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যে কোন জায়গায় ইচ্ছে মত কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। সময় আসলে এটি আরো সুন্দরভাবে পরিষ্কার হবে।
ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নাছিম বলেন, ঢাকা ৮ আসনের সকল থানা, ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। মানুষের ভিতরে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জাতির পিতার আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পেয়েছে এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য তাদের কর্মকান্ড শুরু করেছে। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই ১৮ তারিখ থেকে নৌকার ভোটের জন্য মানুষের কাছে যাবো ও দোয়া চাইবো এবং ভোট প্রার্থনা করব। আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের এলাকাকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করব। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের কাছে আমি দোয়া চেয়েছি, যাতে সকলেই আমার জন্য দোয়া করেন। আমি যেন সকলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হতে পারি। আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই আমার কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং আমাদের নেতাকর্মীরাও আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনে উৎসবমুখর করে তুলবে।
এরপর তিনি হাইকোর্ট মাজারে যান এবং মাজার জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াহিদ উল্লাহর জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শ্রী বিপ্লবী রানীর স্মরণ সভায় যোগদান করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
