বাদ পড়লেন বিতর্কিত সংসদ সদস্য হাবিব হাসান

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারের নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির সমীকরণে শেষ মুহুর্তে ঢাকার একটি আসন ছাড়লো আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতেই ঢাকায় কোন আসন ছাড়তে চায় নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাধ্য হয়ে ঢাকা-১৮ আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন,  বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন ১৭জন। এর বাইরে ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এ ছাড়া ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এবং ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা। কিন্তু এবার ঢাকায় মাত্র ১টি আসনে শরিকদের ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।      

আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ মুহুর্তে ঢাকা-১৮ আসনে ছাড় দেয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। ওই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বিতর্কিত হাবিব হাসান। আর জাতীয় পার্টি থেকে ওই আসনে দাঁড়িয়েছেন দলের চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও দলের উদেষ্টা শেরিফা কাদের।    

আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, এবার ঢাকায় কোন আসনে কোন শরিক দলকে না দেওয়ার পক্ষে ছিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্ল্যাহ। তিনি গণমাধ্যমে জানান, আসন ভাগাভাগিতে কোন শরিককেই ঢাকার আসন ছাড়া হবে না। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা-১৮ আসনের দলের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিব হাসান দূর্নীতির কারণে এলাকায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেন। কয়েক মাস আগে তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করা হয়। গত ৮ অক্টোবর কামরুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার পৃষ্ঠার এক অভিযোগপত্রও জমা দেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া অভিযোগপত্রে অভিযোগকারী কামরুল ইসলাম রফিক নিজেকে ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর আগে ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত হওয়া উপ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিব হাসান। পরে হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে    চাঁদাবাজি, পদ বানিজ্য, জমি দখলসহ বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ করা হয়।