ক্ষমাতসীন সরকারকে এখন থেকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সেইসাথে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আদালতে হাজিরা না দিতেও আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়ালি সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন।
সরকার পদত্যাগসহ নানা দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। কিন্তু কিছু সময় পরই পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হলে সমাবেশ পণ্ড হয়। তখন মঞ্চ থেকে পরদিন হরতাল পালনের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এর অংশ হিসেবে কয়েক দফা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘আজ (বুধবার) থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় দেওয়া স্থগিত রাখুন। ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটিও ভাবুন। মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা আজ থেকে আদালতে মামলার হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।’
গতকাল বিএনপি নেতা রিজভী বুধবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।