আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এবং নির্বাচনে যেন কোনো রকম অনিয়ম-কারচুপি না হয়, সে জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) যশোরে শেখ হাসিনা আইটি পার্ক অডিটরিয়ামে ১৩ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি, আনসার ও বিজিবির কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা বলেছি, যেকোনো মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ-শান্তিপূর্ণ হয়। এ বিষয়ে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। শান্তি ভঙ্গ যেন না হয়। পরিবেশটা যেন অনুকূল থাকে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, একই সঙ্গে এই বার্তাও কঠোরভাবে দেওয়া হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিসট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেন কোনো অনিয়ম, কারচুপি, কোনো রকম দখলদারি, কোনো রকম পেশিশক্তি প্রয়োগ না হয়, সে জন্য তাঁদের যেন ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তাঁদের যেন জবাবদিহি করা হয়।
এটা নিশ্চিত যেন করা হয়- এই বার্তাটুকু আমরা রিটার্নিং অফিসার যারা আছেন তাদের দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারকে কিন্তু মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে। ওনারাই ইলেকশন কমিশন, ওনারাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে হামলার ঘটনা ঘটছে, সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে তিনি খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও যশোর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম।
বিকেলে একই স্থানে যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনের ৩২ জন প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।