টানা ৭৪ দিন বন্ধ থাকার পর তালা ভেঙে দলের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ ছিল দলটির কার্যালয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এর আগে বুধবার দলীয় কার্যালয় খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রহসনের এক নির্বাচন। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। মূলত কার্যালয়ে আসলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
এরপর রিজভী বলেন, আমাদের যুব দলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপর গেট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন… জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও চাবি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
রিজভী আরও বলেন, দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে আমরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছি।