জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০টি থানার ছয় শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গণপদত্যাগ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে জাপার নেতারা।
এসময় দলটির বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়সহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে একে একে স্বাক্ষর করে পদত্যাগ করছেন তারা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, জাতীয় পার্টিতে বর্তমানে যিনি চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন সেই জিএম কাদের এক বছর আগে থেকেই বলে আসছেন, জাতীয় পার্টি একক ভাবে নির্বাচন করবে। সেই ভাবে তিনি বক্তৃতা, বিবৃতি এবং মিডিয়ায় কথা বলে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। আর সমঝোতা করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ মাত্র ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে এমপি হয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বিগত সময়ে সারাদেশে করোনা মহামারির সময় আমাদের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টুর নেতৃত্ব ঢাকা মহানগরের ২৫টি থানা ও ৫৪টি ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। আর সেই ত্যাগি নেতাকে কোনো রকম কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান না করে সরাসরি অব্যাহতি দিয়েছেন। যা শিষ্টাচার বহির্ভূত।
আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এরশাদ প্রেমিক নেতা কর্মীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন তার বিপর্যস্ত সংগঠনে অবস্থান করে প্রাণপ্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জি এম কাদেরের সংগঠন থেকে আজ গণপদত্যাগের ঘোষণা করছি। একই সাথে আপনাদের কাছে এই অঙ্গীকারও করে রাখছি, অল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা পল্লীবন্ধু এরশাদের চেতনা, প্রেরণা, নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবো। সত্যের পথে আমাদের বিজয় সু-নিশ্চিত। ইনশাআল্লাহ!