মিউনিখে সাহসী কূটনীতি দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি জোরালো বক্তব্য- যেটা আগে কোনো নেতা এই দুঃসাহস দেখাতে পারেননি ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে নিমন্ত্রণ ও বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনামুখরও ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজকে এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ করা ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে।
দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার- এ অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছু অন্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোন উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই- যা করণীয় অবশ্যই করছি।
মিয়ানমার ইস্যুতে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সব পক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে। সেখানে যুদ্ধ পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্ট ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে কাজ করছে সরকার।
গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙা হচ্ছে- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টির আজকে যারা সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে, এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করছে- সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল, তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা করছেন, তারা কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে কাদের বলেন, বায়ুদূষণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইটের ভাটা বন্ধ করা একটা বড় কাজ।