বিএনপি চেয়ারপারস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ ভোর ৫ টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। ভোর সোয়া ৪টার দিকে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন।
এর আগে গত ২ জুলাই তিনি ১১ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাসায় ফেরেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভাকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এর একদিন পর ২২ জুন তার হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়।
এদিকে হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, কারণ তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তাই সার্বক্ষণিক ডাক্তারের তত্ত¡াবধানে থাকতে হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে খালেদা জিয়ার মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে সেই মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হার্ট, ডায়বেটিস, কিডনিসহ নানা রোগে ভুগছেন।
