চলমান ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর সব ওয়ার্ডে জমায়েত এবং দেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া সোমবার (৫ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোকমিছিল করা হবে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না। সে কারণে সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। গতকাল এবং আজকেও আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন নতুনভাবে ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী... যদিও মৃত্যুর বেদনা, জন্মদিবসকে ছেপে চলে যায় শোকের কাছে। আমরা আগামীকাল নতুন করে প্রোগ্রাম দিয়েছি।
নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ তারিখে আমরা আমাদের সেই (স্থগিত শোক মিছিল) কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করব।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ফিরিয়ে এনেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তারা বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত, রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকার উৎখাতে নিয়ে যেতে উম্মুখ হয়ে থাকে। সরকার সকল উস্কানি ও নৈরাজ্য ধৈর্য, সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।