ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিশোধ নেয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেয়া: জামায়াতে আমির

প্রতিশোধ নেয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেয়া: জামায়াতে আমির

জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রতিশোধ নেয়ার মানে হচ্ছে আইন হাতে তুলে নেয়া। আমরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি কারও ওপর প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ মূলক এ নোংরা কাজের এখানেই পরিসমাপ্তি হোক। তবে যিনি যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে আয়োজিত রোকন সম্মেলন ও সুধী সমাবেশের প্রথম ভাগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মুক্তির যে পথে উঠেছে গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলতে থাকুক। অপশক্তি বাংলাদেশকে এ রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত তাদের প্রতিহত করে দেবে ইনশাআল্লাহ। এখন জাতীয় ঐক্যের বড়ই প্রয়োজন। জাতির মৌলিক ইস্যুতে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে। তার বিবেকের তাড়নায় যা বলার তা বলবে। বর্তমান সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার এই সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে তার জন্য সহযোগিতাও করতে হবে। এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সবাই এগিয়ে যাক। দল ও মত ভিন্ন থাকবে, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এজন্য সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতাও থাকতে হবে। যারা আমার সমালোচনা করেন না এবং ভুল দেখেও নীরব থাকেন তারা বন্ধু হতে পারে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আপনারাও স্বাধীন ছিলেন না। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক আপনারাও মজলুম দলগুলোর বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছেন। অনেকেই বলেন চাপের জন্য আপনারা অসহায় ছিলেন। এ জন্য আপনাদের দায়ী করব না। আল্লাহ এখন আপনাদের কণ্ঠ মুক্ত করে দিয়েছেন। আপনারা এখন যেন বিবেক অনুযায়ী এ পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আওয়ামী লীগ যুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তারা দেশকে কালো গহŸরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে আমরা এখনও বের হতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করা হয়েছে। একে একে ক্রমিক অনুসারে ১ থেকে ১১ শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। ফাঁসি দেয়া হয়েছে, জেলের ভিতরে তিলে তিলে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তারা চেয়েছিলেন যেন এসব নেতারা প্রাণ ভিক্ষা চায়। কিন্তু তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করেননি।

জেলা জামায়াতের আমির শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, অর্থ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মণ্ডল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

এ সময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াত,ডা. শফিকুর রহমান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত