বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মারা থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হত্যার ঘটনা ঘটেছে সব হত্যার বিচার করতে হবে। তবে সবার আগে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার করতে হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী উত্তরের বার্ষিক সদস্য (রুকন) সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার আগে করতে হবে। তারা বলত (আওয়ামী লীগ) আইন সবার জন্য সমান। সেই সমান আইনে তাদের বিচারের অধিকার আছে কিনা? তাদের তৈরি করা কালা-কানুনে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে যেন তাদের মাহরুম (বঞ্চিত) করা না হয়।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ নামে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনী তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদেররা অহংকার ও অন্যায় নিয়ে গর্ব করতেন। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। আজ উনারা কোথায় গেলেন। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে। আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী দল, এদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আর কেউ ছিল না। তাই তাদের করা আইন দিয়ে দ্রুত জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, ক্ষমতায় আসার দুই মাস না যেতেই তারা সেনাবাহিনীর গায়ে হাত দিয়েছে। ৫৭ সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। সেনা অফিসারের মা বোনকে হত্যা করা হয়েছে। সেই জঘন্য ঘটনা জনগণ কখনো ভোলেনি। ঘটনার তদন্ত কমিটি হয়েছিল। কিন্তু একটা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত জানতে দেওয়া হয়নি। নেপথ্যের নায়ক হুকুমদাতাদের আড়াল করা হয়েছে। তদন্তের নামে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। মিডিয়া হাতের পুতুল, বলির পাঁঠা ছিল। খুনিরাই ক্ষমতায় এসে খুনের রাজত্ব কায়েম করে দুঃশাসন উপহার দিয়েছে। তারা একসঙ্গে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছে, বিডিআরের নাম নিশানা মুছে ফেলেছে। শুধু ক্ষমতার লালসা ফুরানোর জন্য তারা এই কাজ করেছিল। ওই কুখ্যাত দলের নেতা-নেত্রীরা এ কাজ করেছিল।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে তারা জেলে, কিন্তু যারা নেপথ্যের নায়ক-নায়িকা তাদের পাওয়া বাকি। তাদের পাওনা তাদের পেতে হবে।
আবা/এসআর/২৪