এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর দেশটা কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধর উত্তরসূরীরা নতুন করে লড়াই চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট খুনি স্বৈরাচারের পতন হলেও যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। ফ্যাসিবাদের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র কাঠামো এখনও বহাল আছে। একে সমূলে সংস্কার করতে হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে কক্সবাজার জেলা এবি পার্টি আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান। দিল্লির গোলামি ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠা তরুণরা আবারো স্নাইপার রাইফেলের সামনে বুক চেতিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশে আর কোন রাজবংশের শাসন চলবেনা। কারণ-দেশটা কারও বাপের না।
তিনি বলেন, অনিন্দ্য সুন্দর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অবহেলিত। সরকার কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স নিলেও কক্সবাজারকে সাজানোর কোন পরিকল্পনা নেই। সুষ্ঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে সাজানো গেলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতো। তিনি লবণ আমদানির বিরুদ্ধে হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, তরুণদের রক্তের দাগ না শুকাতেই কক্সবাজারের আদালত প্রাঙ্গণে ঘুষ, আঁতাত, দালালির মধ্য দিয়ে পতিত হাসিনার দোসরদের পূণর্বাসনের চেষ্টা রক্ত দিয়ে প্রতিহত করা হবে।
কেন্দ্রীয় এবি পার্টি নেতা সরওয়ার সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা এবি পার্টির সদস্য সচিব এডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সদস্য সচিব এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় সহ-সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক।
বক্তব্য রাখেন, জেলা এবি পার্টি নেতা এডভোকেট আমিন উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক এবি ওয়াহেদ, আবদুর রহমান, ড.সালাহ উদ্দিন, আবদুল হান্নান আজাদ, ছাত্রনেতা আসিফ বাপ্পী, এমরান শাহীন। সমাবেশের উদ্বোধক ছিলেন, জুলাই-আগস্ট গণ আন্দোলনে শহীদ, মহেশখালীর সন্তান শহীদ তানভীরের ছোট ভাই ওয়াসিফ।