‘বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংশোধনী শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিৎ হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে।
আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
এর আগে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান বিএনপি তার সম্মান দিতে চায়। খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতার বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে এর কড়া সমালোচনা করেন। বিএনপি ঘরানার লোকেরাও রিজভীর বক্তব্য সমর্থন করেননি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নতুন তিন উপদেষ্টাকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি শপথ পাঠ করান। সেই অনুষ্ঠানের একটি ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টাদের মাথার ওপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ঝুলছে। এটা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হলে সেই ছবিটি পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলা হয়।
আবা/এসআর/২৪