জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটা রূপরেখা দেবেন। আমি কেনো বারবার নির্বাচনের কথা বলছি কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাক বা না যাক সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু আজকে যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
বিএনপিও সংস্কার চায় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুই বছর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ, বিচারবিভাগসহ নানা সংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন। এখন মানুষ সেই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই সরকারকে সংস্কার যৌক্তিক সময়ে করতে হবে। এমন যেন না হয়, মানুষ যেন না ভাবে- বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইলে শেখ হাসিনার পরিণতির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নাই। তারা স্ট্রাইকার ছিল। গোলে শেষ লাথিটা তারাই মেরেছে। তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনোভাবেই দূরত্ব তৈরি করা যাবে না। তবে আমরা এমন কাজ যেন না করি, যাতে দেশে আবারও অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।
সংস্কার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বসিয়ে সংস্কার করতে পারবেন না। নির্বাচন দিতে দেরি করলে মানুষ সন্দেহ করবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসুক না আসুক নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সংস্কার আমরা অবশ্যই চাইবো এবং সংস্কার আমরা করবো। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) দয়া করে জিনিসটা যেভাবে সুন্দর হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেই ভাবে এগিয়ে যান। আমরা এখনো পর্যন্ত আপনাদের কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। উল্টো আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
আবা/এসআর/২৪