বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,'দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে বিএনপি একা পারবেনা। সবাইকে সাথে নিয়ে করতে হবে সেজন্য আমরা জাতীয় সরকারের কথা বলেছি।আমরা আন্দোলনরত যে দলগুলো ছিলাম, একসাথে আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা চাই সকল দলকে নিয়ে এমন একটি সরকার গঠন করতে যাতে মানুষ তাদের মতামত রাখতে পারবে এবং সকলে মিলে কাজ করতে পারবে।
রবিবার বিকেলে রংপুরে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফাসংক্রান্ত এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। এতে তিনি ১৬ মিনিট বক্তব্য দেন। এর আগে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন,বিএনপি'র একক আন্দোলন সফল হয়নি। অনেক রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ একসাথে নেমে এসেছিল বলে আমরা আন্দোলনকে সফল করতে পেরেছি। লক্ষ কোটি মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ঠিক সেভাবে বিএনপি একা দেশ গড়তে পারবে না। দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে জাতিকে এক ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জুলাই-আগস্ট মাসে সবাই যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সেভাবে দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে বিএনপিকে।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচার যেরকম ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব জায়গায় বিভেদ তৈরি করে সমাজের ব্যালেন্স নষ্ট করেছিল। আমরা চাই দেশকে পুনর্গঠন করতে। অনেক মানুষ আছেন যারা রাজনীতির জড়িত নন বা জড়িত হতে ইচ্ছুক না। কিন্তু দেশের জন্য কাজ করতে চান, মতামত রাখতে চান এবং দেশ পুনর্গঠনে তারা ভূমিকা রাখতে চান তাদেরকে আমরা উচ্চকক্ষে স্থান দিতে পারি যাতে তাদের মতামত জানতে পারি যেন তারা ভূমিকা রাখতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল ধর্মের মানুষদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। এ সময় বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা ধরে রাখতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কোনভাবেই ২০ কোটির কম নয় বলে আমার ধারণা। ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে জনশক্তি তৈরি করবো। যাতে দেশে কোনো বেকারত্ব না থাকে। বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন অবকাঠামো তৈরি করা হলে গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে শহীদদের স্মরণে সেসকল স্থাপনার নামকরণ করা হবে। এবং দেশের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সেসকল জায়গায় চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।