আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে বিএনপির ৩ সংগঠন

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে  আগরতলা অভিমুখে লং মার্চে অংশ নিয়েছে বিএনপির তিন সংগঠন।

বুধবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ লংমার্চ শুরু করেছে  বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

লংমার্চে অংশ নিতে সকাল ৭টা থেকে তিন সংগঠনের  হাজার হাজার নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় তারা ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে নয়াপল্টন প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেন। অন্যদিকে এই কর্মসূচিতে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
 
লংমার্চের রুট হল- সকাল ৮ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠেবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেয়।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় লংমার্চপূর্ব নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষপ্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ। 

এতে উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এছাড়া ভৈরব মোড়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।

আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।

কর্মসূচির আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হবেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।