রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সমর্থন ছিল: রিজভী
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা যেনে মনে রেখো তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছি। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু ওরা চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোড মার্চ করছে।
তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি দিল্লীর কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দিবো? আমরা পিন্ডির কাছে থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি এটা দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করবো, এই রক্ত আমাদের নেই।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সকাল ৯ টায় লংমার্চ শুরু হয়। ভৈরব মোড় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে লংমর্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী।
একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেন।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দেয় ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।