ঢাকা ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সাজ্জাদ হোসেন নামে ওই ছাত্রলীগ কর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে মারধর করে পুলিশে দেয়া হয়। সোমবার বেলা তিনটায় এ ঘটনা ঘটে।

সাজ্জাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। আজ ওই বর্ষের ৫০৬ নম্বর কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি বিভাগে এসেছিলেন। পরীক্ষা শেষে তাকে পুলিশে দেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর। সাজ্জাদ এর আগেও ছয়টি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ তার ৭ নম্বর পরীক্ষা ছিল। ওই বর্ষের আরও চারটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যুত্থান চলাকালে সাজ্জাদ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। কাউকে কাউকে হুমকিও দিয়েছেন। এ কারণে ওই সময়ই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে তাকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অর্থাৎ সাজ্জাদের সঙ্গে কেউ ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। তবে এ সিদ্ধান্ত থাকার পরও সাজ্জাদ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিভাগের শিক্ষকদের সহযোগিতায় অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা হয়ে অন্য একটি কক্ষে সাজ্জাদ এত দিন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আজ বেলা একটা থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের সামনে জড়ো হন।

দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাজ্জাদকে প্রথমে প্রক্টর অফিস ও পরে থানায় নিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাজ্জাদকে চড়থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে। এতে একপর্যায়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।

রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত। এখনো বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে কটূক্তি করে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের পোস্ট ও লেখালেখি করেন। আন্দোলনে হামলার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। এসবের প্রমাণতাঁদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার তারা বিচার চান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদকে প্রক্টর অফিসে এনেছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। পরে তারা ওই কর্মীর মুঠোফোন ঘেঁটে বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত