বাজারের সিন্ডিকেট দমনে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, পণ্যের লাগামহীন উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সংসারের খরচ মেটাতে জনগণকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে অন্তর্বর্তী সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, টমেটো কেচাপ, জুস, টিস্যু পেপার, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর ভ্যাট বাড়ানো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও সংকটে ফেলেছে।”
ভ্যাট বৃদ্ধিকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও ব্যবসায়ীরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ানো ছাড়া কিছুই করবে না।”
রিজভী আরও দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও বাজারের সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।
তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “সাধারণ মানুষের জীবনের কষ্ট দূর করতে ব্যর্থ সরকার এখন অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর করছে।”