ঢাকা ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত: ড. ইউনূস

টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত: ড. ইউনূস

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে লন্ডনে বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে বিতর্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। যদি প্রমাণিত হয় যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় যে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে, সেখান থেকে তিনি সুবিধা পেয়েছেন, তাহলে তাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবি তুলেছে যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। দলটির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এক্সে পোস্ট দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন, যা একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। সরকার বর্তমানে যেসব আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি, সেগুলো মোকাবিলায় মনোনিবেশের বদলে টিউলিপ সিদ্দিক একটি বড় বাধা হয়ে উঠেছেন।’

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ইকোনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে জন্মভূমি বাংলাদেশে একটি তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতে তার ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া, খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের উপহারের ফ্ল্যাটে থাকার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে।

ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। যদি তিনি তা করতে ব্যর্থ হন, তবে মন্ত্রী হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।’

তবে, টিউলিপ সিদ্দিক সব ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি।’

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, টিউলিপকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং এ বিষয়ে প্রচারিত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।

টিউলিপ,ইউনুস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত