ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক তিনটি মামলায় শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, এবং টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ মামলাগুলোর একটি সহযোগী আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭নং সেক্টরে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। এ বরাদ্দের জন্য আইন অনুযায়ী যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজউকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় তার পরিবার ও স্বজনদের জন্য এ প্লট বরাদ্দ করানো হয়।
এর আগে, রোববার (১২ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক একটি মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বিদেশে পাচারের সাথে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত।
জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ছাত্র-জনতার হত্যা-গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং এ বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য দুদককে চ্যালেঞ্জ করেছেন।