ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বড় একটি অংশ অর্থ সংকটে রয়েছেন। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন আল-জাজিরার অনুসন্ধানি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি। তার স্ট্যাটাসটি নিচে দেওয়া হলো:
আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,
"ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিক ভাবে বেশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কিন্তু ভবনটি ধ্বংসের পর সম্প্রতি তারা বেশ সক্রিয় হয়েছেন, হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায়। কিন্তু দেশে কোন নেতা না থাকায় কর্মীদের সংগঠিত করার মতো অবস্থা নেই। আর যেসব নেতা এখনো দেশে লুকিয়ে আছেন তারা এক প্রকারের আতংকে আছেন। এই সিনিয়র নেতা উল্লেখ করেন; যেসকল নেতা-নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন তারা দলের কাউকে না জানিয়ে, শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ, অনেকেই বলেছেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত এ সকল নেতাদের একটা বড় অংশ বেশ অর্থ সংকটে আছেন বলেও তিনি জানান, কারণ এভাবে চলে যাওয়ার কারণে তারা কেউই তেমন টাকা পয়সা সাথে করে নিতে পারেননি। কারোই কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। আর বেশিরভাগই সম্পদ গড়েছেন অন্যের নামে। যা আদায় করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপু'র কথা বলেন। তিনি দাবি করেন আমু'র সবই অন্যায়ের নামে করা, আর বিপু'র দুবাইতে করা সব বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ্যমে হয়েছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামদানি আর ফেরত দিচ্ছেন না। বিপু ও তার স্ত্রী এই মুহূর্ত ভারতে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান, তিনি আরো বলেন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে আছেন, ফজলে তাপস আছেন সিংগাপুর আর বাদ বাকীরা দুবাই-কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কয়েকজন অস্ট্রেলিয়াতে।
বর্ডার পার হয়ে নিরাপদে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন বলেও তিনি জানান"।