দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে মির্জা আজমের ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে তিনি জমা দিয়েছেন ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা টাকা এবং তার স্ত্রীর ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭ টাকা।
এছাড়া মির্জা আজমের মালিকানাধীন ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পত্তি এবং দেওয়ান আলেয়ার মালিকানাধীন এক হাজার ৭৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
স্থাবর সম্পত্তিগুলো জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বলে জানিয়েছে দুদক।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
আবেদনে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই দম্পতি অর্থ ও সম্পত্তি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। সুতরাং, তাদের সেটি করা থেকে বিরত রাখার জন্য একটি আদেশ প্রয়োজন।
৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।
মামলায় আরও বলা হয়, মির্জা আজমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে ৬০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭২৫ কোটি টাকা জমা ও ৭২৪ কোটি টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে একই আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা আজম ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।