আরও পাঁচ রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আলোচনায় আরও পাঁচ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস অনুবিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
তথ্যনুযায়ী, আগামী ৩ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় গণতন্ত্রী পার্টি, একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পরদিন ৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও সন্ধ্যা ৭টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংবিধানে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ আছে। তবে এ সংক্রান্ত আইন দেশে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার পর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
এবার সংবিধান অনুযায়ী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরইমধ্যে ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি।
এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বসে বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টি। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানায় প্রতিনিধি দলটি। সঙ্গে ইসি গঠনে সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ ৬ প্রস্তাব দেয় ওয়ার্কার্স পার্টি।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে যাওয়া প্রতিনিধি দলকে রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক জনমত গড়ে তুলতে হবে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে বেরিয়ে এসে রাশেদ খান মেনন বলেন, ইসি গঠনে টানা তিনবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়াকে দুঃখজনক। বঙ্গভবন গেটে মেনন বলেন, সংলাপ চিরকাল হয়ে আসছে। অতীতেও হয়েছে। বিএনপি-জাতীয় পার্টির আমলেও নির্বাচন নিয়ে সংলাপ করেছি। আওয়ামী লীগ আমলে সংলাপ করছি। গণতন্ত্রে সংলাপের বিকল্প আছে বলে মনে করি না।
আর ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং খেলাফত মজলিস। এ আলোচনায় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি।