হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের উৎস বের করতে ‘ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি’ করা হয়েছে। গত সোমবার চিকিৎসকরা এ পরীক্ষা করে তাঁর ক্ষুদ্রান্ত্রের নিচে রক্তক্ষরণের নতুন উৎস দেখতে পান। তবে শারীরিক জটিলতার কারণে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এন্ডোস্কোপি করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এ কারণে রক্ত বের হওয়ার উৎসও বন্ধ করা যায়নি। মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য গতকাল জানিয়েছেন, দুই দিন ধরে থেমে থেমে তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর এন্ডোস্কোপি ও কোলনস্কোপি করে রক্তক্ষরণের কিছু উৎস বন্ধ করা হয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী ওই সময় জানিয়েছিলেন, সব উৎস বন্ধ করা যায়নি।
চিকিৎসক ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বড় ধরনের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি এড়াতে খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। তার পরও থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে রক্ত দিয়ে ভারসাম্য আনা হয়। কিডনির সমস্যা থাকায় ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শরীরের ব্যথা ‘অসহনীয়’ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক বলেন, এটি ক্যামেরাযুক্ত ক্যাপসুল, মুখে খাওয়ানো হয়। ওই ক্যাপসুল শরীরের ভেতরে প্রবেশ করেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিরচিত্র তুলতে থাকে, যা কম্পিউটারে দেখতে পান চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাঁর যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, সেই প্রযুক্তি আমাদের দেশে নেই। তাই তাঁকে দ্রুত বিদেশে পাঠালে সুচিকিৎসা সম্ভব।’