ভালো রাখুন মন
সকালের নাশতা করুন জানালার পাশে বসে, যাতে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পান। সূর্যের আলো আপনাকে পজিটিভ এনার্জি দেবে ও আপনাকে রাখবে সচল। নাশতার আগে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায়, ছাদে বা উঠানে দাঁড়িয়ে দু’হাত দু’পাশে ছড়িয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিন। লিখেছেন- সিয়াম দেওয়ান
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দিনের শুরু : দিনের শুরুটা ভালো হলে দিনটা ভালো যাবে। তাই দিনের শুরুটা ভালো করা দরকার। সকালের নাশতা করুন জানালার পাশে বসে, যাতে পর্যাপ্ত সূর্যেও আলো পান। সূর্যের আলো আপনাকে পজিটিভ এনার্জি দেবে ও আপনাকে রাখবে সচল। নাশতার আগে ঘুম থেকে উঠে বরান্দায়, ছাদে বা উঠানে দাঁড়িয়ে দু’হাত দু’পাশে ছড়িয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিন। সকালে চা খেলেওে মন ভালো থাকবে। চাইলে গোসলের পানিতে হালকা সুগন্ধি মিশিয়ে নিতে পারেন, ভালো লাগবে।
বাড়ান আত্মবিশ্বাস : জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাইলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বস রাখা জরুরি। তাই সবসময় পজিটিভি চিন্তা করুন। আমি পরব না বা আমার দ্বারা হবে না, এমন চিন্তা থেকে বিরত থাকুন। ব্যার্থতার জন্য নিজের সমালোচনা নিজেই করুন ও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করুন। অবান্তর কোনো কিছুর প্রতি ছুটবেন না। ছোট ছোট ব্যাপারগুলোতে নিজেকে খুশি রাখুন ও ছোট ছোট অর্জনগুলোর জন্য নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিন। চাইলে নিজেই নিজেকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। যেমন, আপনার কোনো জিনিস কিনতে মন চাইছে, কিন্তু দাম বেশি, তবুও কোনো একদিন বাজেট ভুলে জিনিসটি কিনে নিজেই নিজেকে উপহার দিন। অথবা কখনও একদিন রেস্টেুরেন্টে গিয়ে খেলেন দামি খাবার। আর এসব আপনার মুড ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
সুস্থ ও সবল থাকুন : শরীর ঠিক থাকলে মন ভালো থাকে। তাই শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। সকালে উঠে মাঠে গিয়ে হাঁটতে বা দৌড়াতে পারেন। অথবা যেতে পারেন জিমে। আর জিমে যেতে সময় না পেলে বাসায় বসেই করতে পারেন শরীর চর্চা। এ ছাড়া শরীরর চর্চার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম জরুরি। তাই খাওয়া উচিত পরিমিত। রাতে ঘুমাতে যানে নির্দিষ্ট সময়ে। কারণ, সময় মতো ও ভালো ঘুমালে পরেরদিন সকালে ঠিক সময় ওঠা যাবে ও শরীর থাকে ভালো।
সামাজিক যোগাযোগ : সন্তানের হোমওয়ার্কে সাহায্য করুন। স্বামী বা স্ত্রী অফিসে যাওয়ার সময় তাকে সাহায্য করুন। বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ি থাকলে তাদের দেখভাল করুন। সুযোগ পেলে প্রতিবেশী বা বন্ধুদের খোঁজ-খবর নিন। সময় হলে পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে পিকনিকে যেতে পারেন।
শখের কাজ : মন ভালো রাখতে রুটিন মাফিক কাজের বাইরে এসে করতে পারেন নিজের পছন্দের বা শখের কোনো কাজ। ছাদে জায়গা থাকলে গড়তে পারেন বাগান। কিংবা বারান্দা সাজাতে পারেন গাছ দিয়ে। ছোটবেলায় নাচণ্ডগান শিখেছেন, চাইলে সেগুলো ফের শুরু করতে পারেন। জড়াতে পারেন সামাজিক কোনো কাজের সঙ্গে। চাইলে সাইকেল চালাতে পারেন। এটি যেমন শখের, তেমনি এটি দারুণ ব্যায়াম। এগুলো মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
আনন্দ পাওয়া : সময় পেলে পছন্দের গান শুনতে পারেন। কিংবা সময় বের করে দেখতে পারেন পছন্দের সিনেমা। কর্মস্থলে যাতায়াতের সময়ও শুনতে পারেন পছন্দের গান বা কবিতা আবৃত্তি। এতে মেজাজ ফুরফুরে থাকবে।
মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নিন : দীর্ঘ সময় কাজ করতে করতে একঘেয়েমি লাগতে পারে। তাই মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নিতে পারেন। বিশ্রামের ফাঁকে পড়তে পারেন ম্যাগাজিন বা প্রিয় লেখকের বই। গল্প করতে পারেন সহকর্মীদের সঙ্গে। কাজের টেবিলে সাজিয়ে রাখতে পারেন প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া উপহার, শুভেচ্ছাপত্র বা পারিবারিক কোনো ফটো। একই কাজ প্রতিদিন একইভাবে করছেন, তাই এ কাজে একঘেয়েমি চলে আসছে। চাইলে একই কাজ অন্য উপায়ে করতে পারেন। কিংবা শুরু করতে পারেন নতুন কোনো কাজ। কাজ করতে করতে ক্লান্তি চলে আসবেই। তাই মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন পছন্দের কোনো দর্শনীয় স্থান থেকে।
* মডেল : সাজেদ
* আলোকচিত্রী : সুহেল