বাগান করতে পছন্দ করেন; কিন্তু বাড়ির সামনে জায়গা নেই। কারণ, আজকাল নগরে বাড়ির সামনে খালি জায়গা পাওয়া কষ্টকর। তবে একটু বুদ্ধি করে বাসার ছাদ বা বারান্দায় তৈরি করতে পারেন ছোট্ট একটা বাগান, যেখানে ছোট আকারে সবজির চাষ করতে পারেন। আর বাগান করার আগে মাথায় রাখতে হবে এমন জায়গা, যেখানে গাছ বেড়ে ওঠার জন্য আলো-বাতাস ও ছায়াও পাবে। আবার আলো, বাতাসের দিকে যেমন নজর দিতে হবে, তেমনি জমা পানি যেন সরে যায় সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। আর এসব দিক বিবেচনায় বাসার বারান্দা ও ছাদ উত্তম জায়গা। অবশ্য অনেক বাসার ছাদও ব্যবহার করা যায় না। তবে যাদের নিজেদের বাড়ি তাদের কথা ভিন্ন।
জায়গার অভাব হলে বারান্দার কোনায় র্যাক করেও গাছের বাগান করতে পারেন। এতে অনেক জায়গাও বাঁচে। চাইলে বারান্দা বা জানালার উপরে বেজ তৈরি করেও বাগান করতে পারেন।
প্রথম দিকে সহজে পরিচর্যা করা যায় ও দ্রুত ফল পাওয়া যাবে এমন কিছু গাছের বীজ বা চারা রোপণ করতে হবে। যেমন- পুদিনা পাতা, লেটুস, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, বেগুন ইত্যাদি। এসব গাছের ফসল উৎপন্ন করতে পরিশ্রম ও সময় কম লাগে। আর প্রথম দিকে সাফল্য পেলে গাছের প্রতি নেশা ও বাগানের শখও বাড়ে।
গাছ লাগানোর জন্য বাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের নানা বোতল রিসাইকেল করে টব বানাতে পারেন। সবার ঘরেই কম-বেশি কোল্ড ড্রিঙ্ক বা তেলের বোতল থাকে। সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। বোতলের অর্ধেকটা কেটে মাটি দিয়ে বীজ পুঁতে দিন। বোতলের গায়ে ছোট ছোট ফুটো করে দিন, যাতে বাতাস ঢুকতে পারে ও ক’দিন পর বীজ থেকে চারা বের হতে পারে। এছাড়া বাজার থেকে টব কিনেও গাছ বা বীজ লাগাতে পারেন।
বাজার থেকে বীজ কিনে লাগাতে পারেন। এছাড়া চাইলে ঘরেই বীজ তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যেসব সবজি বা ফল আছে, সেগুলোর বীজ বা অংশ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে টমেটো, লেবু, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ইত্যাদি।
দিনে কম করে হলেও চার থেকে ছয় ঘণ্টা যাতে গাছগুলো রোদ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুপুরবেলা গাছের গোড়ায় পানি না দেওয়াই ভালো। দুপুরে মাটি গরম থাকার কারণে পানি দিলে বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সার হিসেবে চা পাতা, সবজির খোসা, চাল ধোয়া পানি ইত্যাদি দিতে পারেন।