ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রূপশৈলী

রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান

সুমাইয়া আকতার
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান

হলুদ : রূপচর্যায় হলুদের ভূমিকা অনেক। কাঁচা হলুদের রসও উপকারী। কাঁচা হলুদ বেটে তার সাঙ্গে অলিভয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের ফ্যাকাসে অনেকটই কমবে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখলে ব্রণও কমবে। হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে নিমপাতা বেটে বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে খেলে মুখে লিভার স্পট পরে না।

ডাব ও নারকেল : ডাবের পানি খেলে ত্বকের কমনীয়তা বাড়ে। বসন্ত হলে কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে দাগ চলে যায়। মুখে ব্রণের দাগ হলে ডাবের পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যায় অনেকটা। একটু তুলো ডাবের পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। এরপর হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মুখ ঘষে নিন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা আসবে, মুখের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে। ডাবের পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও চুল পরা কমে। একটা নারকেলের অর্ধেক নিয়ে কুড়িয়ে আধাকাপ অথবা এককাপ গরম পানির সঙ্গে ভালো করে চটকে দুধ বের করে নিয়ে পরিষ্কার দুধের সঙ্গে একটা কাগজী লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় বিলিকেটে চামড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল ওঠা বন্ধ হবে।

মধু : কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচাদুধ একত্রে মুখে মাখলে মুখের রং উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ হয়। মধু ও বেসন একত্রে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে মুখের ত্বক খুব সুন্দর ও মসৃণ হয়। কয়েক ফোঁটা মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, ১ চা চামচ গাজরের রস, ১ চা চামচ ছোলার ডালের বেসন একত্রে পেস্টের মতো করে মুখে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখ মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত