ক্লিনজিং : দূষণ ও তেল প্রতিরোধের জন্য এটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। সহজে বললে, ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপ হল ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা। দিনে দু’বার, সকালে এক বার ও রাতে এক বার ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললেই ময়লা দূর হয়ে যায় অনেককাংশে। ত্বকের চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে ঠিক ক্লিনজার বেছে নিতে পারলে তা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করতে ও ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণত এএইচএ-বিএইচএ ফেসওয়াশ সুপারিশ করা হয়।
আর্দ্রতা রক্ষা : পুরুষদের ত্বক সারাদিন ধরেই অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। বায়ু দূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া বা অতিবেগুনি রশ্মির মতো নানা কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফলত ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজারের আগে কোনো সক্রিয় উপাদানসহ একটি সিরাম ব্যবহার করলে তা ত্বক মেরামতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজ করার পরিবর্তে হাইড্রেট করুন ও ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক আস্তরণ বজায় রাখুন। তবে সিরামটি বেছে নিতে হবে নিজের ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী।
প্রতিরক্ষা : প্রতিদিন সকালে বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্নের রুটিনের অংশ হিসেবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের যত্নের চূড়ান্ত ধাপ। চটচট করে না এমন জেলভিত্তিক সানস্ক্রিনগুলো দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। ভুলে গেলে চলবে না যে, বাইরে না গেলেও নিয়মিত সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দা থেকে যে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত হয় তা থেকেও এটি ত্বককে রক্ষা করে। তবে আপনি যদি ক্রমাগত সূর্যের সংস্পর্শে বা রোদের মধ্যে থাকেন তবে আপনার প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
ক্রমাগত দূষণ, ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে পুরুষরা তাদের উদ্বেগগুলো সমাধান করার জন্য একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সিরাম বা একটি পিগমেন্টেশন সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। সিরামের সামঞ্জস্যের ওপর নির্ভর করে এটি হাইড্রেশনের আগে বা পরে ব্যবহার করা উচিত। যেমন সিরাম পাতলা হলে প্রথমে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া পুরুষদের সানস্ক্রিন লাগানোর আগে নন-স্টিকি, নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।