ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পোশাকে ঈদের বারতা

গাজী মুনছুর আজিজ
পোশাকে ঈদের বারতা

বরাবরের মতো এবারও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো ঈদ উপলক্ষ্যে এনেছে নতুন নকশার পোশাক। আর এবারও একেক ফ্যাশন হাউস একেক থিমে করেছে পোশাকের নকশা। সেই সঙ্গে বাড়তি আয়োজন হিসেবে অনেক হাউসেই রয়েছে পরিবারের সবার জন্য বা যুগলদের জন্য একই রং ও নকশার পোশাক, যা উসৎবে বাড়তি আনন্দ দেবে বলে মনে করছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড এরই মধ্যে তাদের শোরুম সাজিয়েছে নতুন নকশার পোশাক দিয়ে। সে ধারাবাহিকতায় লা রিভ নারী, পুরুষ, শিশু, মা-মেয়ে, বাবা-ছেলে, টিনএজারদের কালেকশনের পাশাপাশি ব্র্যান্ড এক্সক্লুসিভ নার্গিসাসের কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছে। লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস বলেন, প্রতিটি ফ্যাশন সিজনে আমরা নতুন নতুন থিম নিয়ে কাজ করি। এবারের থিমের নাম রিলিজ। একটি দীর্ঘ অতিমারি শেষে আমরা মন খুলে উৎসব করতে পারছি। উৎকণ্ঠা সরিয়ে আমাদের মনে স্বস্তি বা ইনার পিস ফিরে এসেছে। এ ইতিবাচকতা, প্রশান্তি, আর উৎসব ফিরে পাওয়ার খুশি প্রকাশ করে যেসব রং, তা-ই এ কালেকশনের কালার প্যালেটের জন্য বাছাই করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ও ঈদের সব ট্রেন্ডি প্রিন্টস্টোরি দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ঈদ কালেকশন। লা রিভের এক্সক্লুসিভ কালেকশন নার্গিসাসে অভিজাত ও মনোমুগ্ধকর সব ডিজাইন যোগ হয়েছে ঈদ উপলক্ষ্যে। এবারের নার্গিসাস কালেকশনের মূল ফিচার শিয়ার লেয়ারিং।

ঈদ উপলক্ষ্যে প্রতিবারের মতো এবারও থিমনির্ভর কালেকশন তৈরি করেছে রঙ বাংলাদেশ। পাখির রঙ থিমে তৈরি হয়েছে এবারের সব সংগ্রহের নকশা উপাদান। পোশাক নকশায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আবহ। পাশাপাশি সময়, প্রকৃতি, আবহাওয়া আর আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডও। এবারের ঈদ কালেকশন তৈরি করা হয়েছে আরামদায়ক কাপড়ে। ডিজাইনে বিভিন্ন ধরনের কটন, স্লাব কটন, লিনেন, হাফসিল্ক, জর্জেট, নেট, টিস্যু, সিকুয়েন্স, সাটিন, কাইজার কাপড় দিয়ে পোশাকগুলো করা হয়েছে। শুধু বড়দের নয়, ঈদে ছোটদের পোশাককে সমান গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাচ্চাদের আকর্ষণীয় পোশাক। রয়েছে পরিবারের সবার জন্য একই ধরনের ম্যাচিং পোশাক।

আড়ংসহ অন্যান্য ফ্যাশন হাউসও এনেছে ঈদের কালেকশন। দেশীদশের প্রতিষ্ঠান সাদাকালো, কে ক্র্যাফট, নগরদোলা, বিবিয়ানা, বাংলার মেলা, দেশাল, অঞ্জন’সসহ দেশীয় অন্য হাউসও ঈদে সব বয়সীদের জন্য নতুন নকশার পোশাক এনেছে। শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের মেঘ, আর্টিজ্যান, বালুচর, পলো প্লাসসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও এনেছে ঈদের পোশাক। এসব পোশাকের মধ্যে আছে পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া, টি-শার্ট, পলো শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, টপস, সিঙ্গেল কামিজ ইত্যাদি।

আড়ংয়ের ফ্যাশন ডিজাইনার ফয়েজ হাসান বলেন, পরিবারের ছোট-বড় সবাই বা দম্পতিরা যদি একই রং ও নকশার পোশাক পরেন তবে তাদের মধ্যে বাড়তি আনন্দ যেমন যোগ হয়, তেমনি নিজেদের একটু আলাদা উপস্থাপনেও বাড়তি পাওনা হয়ে থাকে। সে জন্যই পরিবারের সব সদস্যের জন্য একই রং ও নকশার পোশাক ডিজাইন করা। আজিজ সুপার মার্কেটের কয়েকটি ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারীও জানালেন, তারা বেশ কয়েক বছর ধরেই ঈদ, বৈশাখ, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, একুশ, ফাল্গুনসহ বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে পরিবারের সব সদস্যের জন্য একই রং ও নকশার পোশাক করে আসছেন। এর চাহিদাও ভালো।

ঈদে আনা মেয়েদের তাঁতের শাড়ি ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার, হাফসিল্ক শাড়ি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০, অ্যান্ডি শাড়ি ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার, মসলিন শাড়ি ৮ হাজার থেকে ২০ হাজার, সিঙ্গেল কামিজ ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০, সালোয়ার কামিজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার, আনস্টিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ২০০, ব্লাউজ পিস ২০০ থেকে ৩৫০, তৈরি ব্লাউজ ৫০০ থেকে ১ হাজার, সিঙ্গেল ওড়না ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

ছেলেদের পাঞ্জাবি ৮৫০ থেকে ২ হাজার ২০০, ফতুয়া ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, কাতুয়া ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, শার্ট ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, টি-শার্ট ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পায়জামা ৪০০ থেকে ৫৮০, উত্তরীয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। ছোট মেয়েদের শাড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার, ফ্রক ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০, কামিজ ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, টপস ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, সালোয়ার কামিজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। ছোট ছেলেদের পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ১ হাজার, শার্ট ৫০০ থেকে ৭০০, টি-শার্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত