রেসিপি

মজাদার চার পদ

রেসিপি দিয়েছেন : মরিয়ম বেগম

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ছোলা ভাজি

যা লাগবে : ছোলা ও আলু পরিমাণ মতো, কাচা মরিচ, কাচা পেয়াজ, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা, সামান্য মশলা বাটা, হলুদের গুঁড়া, লবণ ও তেল।

যেভাবে করবেন : ছোলা রান্না করার আগের দিন রাতে বা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজানো ছোলা ও আলু টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর লবণ ও কাঁচামরিচ দিয়ে গরম তাপে সিদ্ধ করুন। গরম পাত্রে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি রঙে ভেজে নিন। এবার রসুন, আদা, জিরা ও মসলা বাটা ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে চুলার আচে মসলাগুলো কষিয়ে নিন। কষানো মসলার মধ্যে সিদ্ধ করা ছোলা ও আলু দিয়ে নাড়তে থাকুন প্রায় ২ থেকে ৩ মিনিট। এরপর ছোলার মধ্যে কাচা-পেঁয়াজ কুচি একটু বেশি করে দিয়ে ১ মিনিট নেড়ে চুলার আচ কমিয়ে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন।

পিয়াজু

যা লাগবে : যে কোনো ডাল বাটা পরিমান মত, আদা বাটা, জিরা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, লবণ ও হলুদের গুঁড়া।

যেভাবে করবেন : প্রথমে ডাল ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে নিতে হবে। ভেজানো ডাল পাটায় বেটে হালকা মিহি করতে হবে। এরপর ডালের ভেতর সামান্যে লবণ, বেশি করে পেঁয়াজ কুচি, আদা, জিরা ও রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, হলুদের গুঁড়া ও ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মিক্সড করুন। এরপর চুলায় একটি পাত্র দিয়ে বেশি আঁচে গরম করে নিন। এরপর পাত্রে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করতে থাকুন। এবার ডাল বাটা হাতে গোল চ্যাপ্টা করে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিয়ে ভাজতে থাকুন। পিয়াজু ভেজে অন্য একটা পাত্রে টিস্যু পেপার রেখে তার ওপর রাখুন। এরপর গরম পিয়াজু ইফতারে মুড়ির সঙ্গে বা ইফতারের শেষে গরম ভাতও পরিবেশন করতে পারেন।

বুটের ডালের হালুয়া

যা লাগবে : বুটের ডাল ১ কাপ, গরুর দুধ ২ কাপ, লাল চিনি ১ কাপ , লবণ ১ চিমটি খাঁটি গাওয়া ঘি/তেল আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ১টি, বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন : প্রথমে বুটের ডাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে বুটের ডাল সিদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিন। গরুর দুধে অল্প পানি মিশিয়ে নিন। এরপর সিদ্ধ বুটের ডালে একটু একটু দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন, পাটায়ও বেটে নিতে পারেন, যদি পাটায় বেটে নেন তবে সে ক্ষেত্রে দুধ দেওয়ার দরকার হবে না। দুধ একবারে হালুয়া তৈরির সময় দিলেই হবে। এখন ননস্টিক ফ্রাইং প্যানে খাঁটি গাওয়া ঘি/তেল গরম দিয়ে একে একে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে দিন। এবার বুটের ডাল ও গরুর দুধ এর মিশ্রণ দিয়ে দিন। ঘন ঘন নাড়ুন যাতে নিচে পোড়া না লাগে। চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। এরপর লাল চিনি দিয়ে দিন, এক চিমটি লবণ দিন। বাদাম কুচি ও কিশমিশ দিন। নাড়তে নাড়তে এক পর্যায়ে হালুয়া যখন ঘন হয়ে প্যান থেকে ছেড়ে ছেড়ে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। যে প্লেট বা ট্রেতে হালুয়া ঢালবেন তাতে সামান্য গাওয়া ঘি মাখিয়ে নিন। এবার প্লেটে হালুয়া ঢেলে সমান করে বিছিয়ে পছন্দ মতো সাইজে কেটে নিন। উপরে বাদাম কুচি এবং কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম সুস্বাদু বুটের ডালের হালুয়া।

সবজি হালিম

যা লাগবে : পোলাওয়ের চাল ১০০ গ্রাম, মসুর ডাল ১০০ গ্রাম, মাষকলাইয়ের ডাল ৫০ গ্রাম, মুগডাল ১০০ গ্রাম, বুটের ডাল ৫০ গ্রাম, গমের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ১ কাপ, মিহি করে পেঁয়াজ কাটা ২ টেবিল চামচ, আস্ত কাঁচামরিচ ১০ থেকে ১২টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা কুচি মিহি করে কাটা ১ চা চামচ, লেবু টুকরো করা, হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা আদা টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেঁতুলের ঘন পানি আধা কাপ, গাজর, টমেটো, ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করা, শুকনো মরিচ ৫ থেকে ৬টি। হাড়সহ ছোট ছোট টুকরো গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, হালিমের মশলা ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন : প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে রাখুন। এরপর পাতিলে তেল গরম করে এতে পেঁয়াজ এবং আস্ত গরম মশলা দিয়ে ভাজুন। বাটা ও গুঁড়া মশলা স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। এরপর এতে মাংস দিন। ভালো করে কষিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। মাংস হয়ে এলে এতে হালিমের মশলা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে রাখুন। হালিমের শস্য আলাদা আলাদা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এরপর সব শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করুন। এরপর রান্না করা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। খেয়াল রাখুন নিচে যাতে লেগে না যায়। সব সবজি ধুয়ে নিন। হালিম প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে এতে আরও হালিমের মশলা এবং সবজিগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালিম ঘন হলে নামিয়ে নিন। এরপর গরম গরম হালিমের সঙ্গে আদা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি, তেঁতুল পানি বা লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।