গরমে অন্দরসাজ
ঘরের সাজে কিছুটা পরিবর্তন এনে এ গরমে শান্তি পেতে পারেন। লিখেছেন- সাঈদুজ্জমান সৈকত
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সন্ধ্যাবেলা দক্ষিণের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে আসা ফুরফুরে বাতাস আপনার সারা দিনের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। আর এ বাতাস মনে হবে একখণ্ড শান্তির পরশ। তখন কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভুলে থাকা যাবে ক্লান্তিটাকে। কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়কার নগর জীবনে দক্ষিণের জানালা হয়তো অনেকেরই নেই। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণের ফলে দিন দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলছে, তাই গরমটাও যেন দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে এ ঘরে-বাইরে থাকাটাই কষ্টকর। অবশ্য পরিবেশ দূষণের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। সেজন্য পরিবেশ কীভাবে ভালো রাখা যায়, কিংবা তাপমাত্রা কীভাবে কমানো যায়, তার চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে। এ ছাড়া গ্রীষ্মের সময় নিজের ঘরের সাজসজ্জায় কিছুটা পরিবর্তন আনলে গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ঘরের জানালা-দরজায় যদি পাতলা কাপড়ের পর্দা লাগানো যায়, তবে বাতাস চলাচল সহজ হবে, এতে ঘর থাকবে ঠান্ডা। বিছানার চাদরটাও হওয়া চাই সুতি কাপড়ের। বালিশের কভারও তাই। আর জানালা-দরজা বা বিছানার চাদরের রংটাও হওয়া উচিৎ হালকা ধরনের। এ ছাড়া এসব কাপড় যদি মেশিনের তৈরি না হয়ে হাতে বোনা হয়, তবে আরও ভালো। কারণ, মেশিনে তৈরি কাপড়ের চেয়ে হাতে বোনা কাপড় তুলনামূলক ঠান্ডা।
কাঠের ফ্লোর ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তাই পারলে গরমের সময় কাঠের ফ্লোর করা যেতে পারে। অবশ্য এতে কিছু বাড়তি খরচ হবে। তবে আরামের তুলনায় এ বাড়তি খরচটুকু করাই যেতে পারে। সবুজ রং একটু বেশিই তাপ শোষণ করতে পারে। তাই ঘরের দেওয়ালের রংটা যদি সবুজজাতীয় করা যায়, তবে মন্দ হয় না। আর সবুজ রং চোখে দেখতেও ভালো। এ ছাড়া ইটের দেওয়ালে গরমটা একটু বেশি সময় ধরে থেকে যায়। তাই যদি পারা যায়, দেওয়ালে ন্যাচারাল কোনো বস্তু দিয়ে আলাদা ফ্রেম করে লাগানো যেতে পারে। এতে ন্যাচারাল বস্তুটা তাপ যেমন শোষণ করবে, তেমনি দেওয়াল রাখবে ঠান্ডাও। যেমন, পাটের কাপড়, শীতল পাটি, বাঁশের পাটি, মোটা শতরঞ্জি ইত্যাদি। এ ছাড়া যাদের ঘরে জানালা আছে, তারা চাইলে গরমের এ সময়ে জানালার পাশে বা জানালা বরাবর শোবার খাটটি স্থাপন করতে পারেন। সব মিলিয়ে গরমের এ সময়ে ঘরে আর্টিফিশিয়াল সব বাদ দিয়ে ঘরকে সাজান ন্যাচারাল সব বস্তু দিয়ে, আর ন্যাচারাল বস্তু তাপ শোষণের পাশাপাশি ঘরকে ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করবে।