ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘরোয়া উপকরণে ত্বকের যত্ন

ত্বকের ব্রণ থেকে কালচে দাগ, সব সমাধানই হবে ঘরোয়া কিছু উপায়ে। লিখেছেন- সুমাইয়া আক্তার
ঘরোয়া উপকরণে ত্বকের যত্ন

ভিটামিন সি : শরীর কিংবা ত্বক ভিটামিন সি যত্ন নেয় উভয়েরই। আর ভিটামিন সি ব্যবহারের সঠিক সময় হলো সকাল। ঘুম থেকে উঠেই ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া লেবু, স্ট্রবেরির মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বেশি করে খান।

কফি : ত্বকের যত্নের ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কফি অন্যতম বিকল্প হতে পারে। কফি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন অনেকেই। ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে এটি দারুণ ভূমিক পালন করে। চোখের নিচের কালচে দাগও কফির গুণে উধাও হয়ে যায়।

অলিভ অয়েল : ওজন নিয়ন্ত্রণে এ তেলের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া ত্বকের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে অলিভ অয়েল সত্যিই ভীষণ উপকারী।

অ্যালোভেরা : ত্বকের উন্মুক্ত রোমকূপ ভরাট করতে অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া বলিরেখার মতো সমস্যার সমাধান লুকিয়ে অ্যালোভেরায়।

শসার রস : হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে শসা দারুণ কাজ করে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখে ত্বকেরও। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের যাবতীয় টক্সিন বের করে দেয়। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কমাতেও শসা দারুণ কাজ করে।

গ্রিন টি : ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা- গ্রিন টির জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখে। ফলে বাইরে থেকেও ত্বকে ফুটে ওঠে জেল্লা।

লেবু ও মধুর রস : ওজন কমাতে লেবু, মধুর মিশ্রণ খুব উপকারী। অনেকে খেয়েও থাকেন। কিন্তু এ মিশ্রণটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে এ পানীয় উপকারী। লেবু অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করে। তাই বিয়ের আগে চকচকে ত্বক পেতে খেতে পারেন এ পানীয়।

টমেটো ও গোলাপজল : প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে এ দুটি উপাদানের মিশ্রণ। সমপরিমাণ টমেটোর রস ও গোলাপজল তুলোতে নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এ দুটি উপাদানেই রয়েছে ভরপুর ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বক কোমল করার পাশাপাশি ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলোও বন্ধ করতে সাহায্য করে।

হলুদ : রূপচর্যায় হলুদের ভূমিকা অনেক। কাঁচা হলুদের রসও উপকারী। কাঁচা হলুদ বেটে তার সাঙ্গে অলিভয়েল মিশিয়ে গায়ে, হাতে এবং পায়ে মেখে প্রতিদিন গোসল করলে ত্বকের ফ্যাকাসে অনেকটই কমবে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাখলে ব্রণও কমবে।

হলুদ লোমনাশক, নিয়মিত মাখলে শরীরের লোম বাড়ে না। কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে নিমপাতা বেটে বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে খেলে মুখে লিভার স্পট পড়ে না।

ডাব ও নারকেল : ডাবের পানি খেলে ত্বকের কমনীয়তা বাড়ে। বসন্ত হলে কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে দাগ চলে যায়। মুখে ব্রণের দাগ হলে ডাবের পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যায় অনেকটা। একটু তুলো ডাবের পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। এরপর হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মুখ ঘষে নিন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা আসবে, মুখের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে। ডাবের পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও চুল পড়া কমে। একটা নারকেলের অর্ধেক নিয়ে কুরিয়ে আধা কাপ অথবা এক কাপ গরম পানির সঙ্গে ভালো করে চটকে দুধ বের করে নিয়ে পরিষ্কার দুধের সঙ্গে একটা কাগজি লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় বিলিকেটে চামড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল ওঠা বন্ধ হবে।

কাঠবাদাম ও ওটস : ১০টি খোসা ছাড়ানো বাদাম বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ ওটস, সামান্য দই মিশিয়ে নিন। ত্বকের প্রকৃতি শুষ্ক হলে ১ চা চামচ মধু মেশান আর ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে তুলে দিন। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বককে জেল্লাদার করবে আর ওটস স্ক্রাবিংয়ের কাজ করবে।

*মডেল : শৈলী মাহবুব

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত