‘দীঘল কালো কেশ’ কে না পছন্দ করেন। সুন্দর চুলের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ঝলমলে লম্বা এক গোছা চুল। বর্তমানে ‘স্ট্রেইট’ চুলের সঙ্গে সমানভাবে তাল মিলিয়ে চলছে কোঁকড়া চুলের ফ্যাশন। একটা সময় ছিলে যখন কোঁকড়া চুল হলেই বিরক্তির সীমা থাকত না। তবে এই যুগে চলছে ‘মেসি হেয়ার’ বা এলোমেলো চুলের ফ্যাশন। তাই সে ফ্যাশনের সঙ্গে সমানভাবে ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে কোঁকড়া চুল। তবে সোজা চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুল সামলাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। কারণ স্ট্রেইট চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুল তাড়াতাড়ি এলোমেলো হয়ে যায়।
তাছাড়া কোঁকড়া চুলে জট পড়ে এবং রুক্ষ হয়ে যায় খুব অল্প সময়ে।
মিউনিস ব্রাইডাল বিউটি পার্লারের কর্ণধার তানজিমা শারমিন মিউনি বলেন, সব ধরনের চুলের জন্যই প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। আর চুল ভালো রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রয়োজন চুল পরিষ্কার রাখা। কোঁকড়া চুলের জন্য এখন বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিশেষ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই শ্যাম্পুগুলো ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তিনি আরও পরামর্শ দেন যে, শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে ভালো মানের কন্ডিশনার লাগাতে হবে। এতে করে চুল নরম থাকবে। ফ্যাশনে এখন দারুণ জনপ্রিয় হল ব্যাংস কাট। তবে কোঁকড়া চুলে এই কাটটি একেবারেই বোঝা যায় না। কোঁকড়া চুল সেট করে রাখা সব থেকে কঠিন একটি কাজ। তাই চুল সেট রাখতে হেয়ার জেল ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই সফট জেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ হার্ড জেল চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া হেয়ার ক্রিম বা মুজও ব্যবহার করা যেতে পারে, জানালেন মিউনি। মিউনির পরামর্শ দিতে গিয়ে আরও বলেন, ‘কোঁকড়া চুল ছাড়া রাখলেই বেশি ভালো দেখায়। তবে বাঁধা রাখতে চাইলে মেসি খোপা, বান, হালকা করে বাঁধা বেণী ইত্যাদি দেখতে ভালো দেখাবে। তাছাড়া কোঁকড়া চুল কিছুটা বেঁধে এবং খানিকটা খুলে রাখলেও দেখতে ভালো লাগবে।’
চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও জরুরি বলে জানান মিউনি। তবে চুলের পরিচর্যার নিয়ম করে হালকা গরম তেল মালিশ করা হলে চুল সুন্দর হয়। তাই কোঁকড়া চুল হলে তা নিয়ে আফসোস না করে একে ফ্যাশনেবল করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করাই বেশি জরুরি।