ঘড়ি মূলত কোন হাতে পরা হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ মানষই বলবেন, কোন হাতে আবার- নিশ্চয়ই বাঁ হাতে! কারণ পরিসংখ্যান বলছে, এই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগই বাঁহাতে ঘড়ি পরে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় হলো বেশিরভাগই জানেন না কেন এমনটা করে থাকেন তারা। এক সমীক্ষায় এমন প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগই জাবাব দিয়েছিল- অনেককে দেখেন বাঁ হাতে পরতে তাই তাদের অনুসরণ করেই বাঁ হাতে ঘড়ি পরা শুরু করেছেন। আপনিও যদি এদের একজন হন, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কেন এমন কথা বলছি, তা ভাবছেন নিশ্চয়ই? আসলে এই প্রবন্ধে প্রথমবারের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে- কেন বেশিরভাগ মানুষ বাঁ হাতে ঘড়ি পরে থাকেন!
কিন্তু বাঁ হাতে কেন
একথা ঠিক যে, হাতঘড়ির জন্মলগ্ন থেকেই বাঁ হাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল। কারণ ছিল একটাই। আসলে সে সময়কার হাতঘড়ি ছিল বেজায় বড় এবং ভঙ্গুর। তাই সহজেই যাতে কোথায় ঠোকা লেগে ঘড়িটা ভেঙে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই বাঁ হাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল।
কারণ বিভিন্ন কাজ করতে ডান হাত যতটা কাজে লাগে, ততটা কিন্তু বাঁ হাত কাজে আসে না। তাই যদি বাঁ হাতে ঘড়ি পরা যায়, তাহলে ভাঙার আশঙ্কা কম। সেই থেকে শুরু বাঁ হাতে ঘড়ি পরা। তারপর থেকে যত সময় এগিয়েছে বাঁ হাতে ঘড়ি পরার চল জনপ্রিয়তা পেরেছে।
বিজ্ঞান কী বলছে
ইতিহাস ঘেঁটে বাঁ হাতে ঘড়ি পরার কারণ সম্পর্কে ধরণা করা গেলেও এ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট উত্তর পাওয়া সম্ভব বিজ্ঞানের হাত ধরেই। একাধিক গবেষণার পর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, সিংহভাগ মানুষই ডান হাতে কাজ করতে বেশি স্বচ্ছন্দ।
আর ডান হাতি মানুষের চোখের গতিবিধি বিচার করলে একথা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বাঁ হাতে ঘড়ি পরলে সহজে সময় দেখা সম্ভব হয়।
আর যদি ডান হাতে ঘড়ি পরা হয়, তাহলে কাজ করত করতে যদি সময় দেখার প্রয়োজন পরে, তাহলে কাজ থামিয়ে তা করতে হবে, যা বাঁ হাতে ঘড়ি পরলে করার প্রয়োজন পড়ে না। তাই বেশিরভাগই বাঁ হাতে ঘড়ি পরা শুরু করল। এক সময় ঘড়িকে বাঁচাতে যেখানে বাঁ হাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল, সেখানে এক সময় এসে তা প্রয়োজনে রূপান্তরিত হলো। আর এক সময় এই প্রয়োজন কখন যে অভ্যাসের রূপ নিল, তা অনেকেরই জানা নেই!