নিজের ভালো থাকা, আনন্দ খুঁজে নিতে হলে যে অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন হয় এমন কিন্তু নয়। আপনার কাছে যদি টাকা কমও থাকে তবু তা নিয়ে মন খারাপ করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে নিজেক সময় দিন।
প্রকৃতি অন্বেষণ করুন : প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনাকে সবুজ ও সতেজ অনুভূতি দেবে। কাছাকাছি কোনো পার্ক বা নদীর পাড়ে চলে যেতে পারেন। আপনি সেখানে খোলা বাতাসে হেঁটে বেড়াতে পারেন।
প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে গেলে ঘরে তৈরি কিছু খাবার নিয়ে যেতে পারেন। সবাই একটা করে পদ নিয়ে এলেও অনেক ধরনের খাবার হয়ে যাবে। বাইরের খাবার কিনে একগাদা পয়সা খরচ করতে হবে না। বরং পুরো সময়টা আরও বেশি উপভোগ্য হবে। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে দিনশেষে একটি সুখী হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরবেন। সেজন্য বাড়তি কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
প্রিয় কিছু কাজ : এমন কিছু কাজ আছে যার জন্য আপনাকে একটি টাকাও খরচ করতে হবে না। এ ধরনের অভ্যাস চাপ কমাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে সাহায্য করে। চাইলে জার্নাল বা ব্লগ শুরু করতে পারেন।
আপনার চিন্তাভাবনা, ধারণা বা অভিজ্ঞতা লিখতে পারেন। সেই বইটি পড়তে পারেন যা আপনি দীর্ঘদিন ধরে পড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু কখনই সময় পাননি। আপনি শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হতে পারেন যেমন জগিং, বাড়িতে যোগ ব্যায়াম করা বা ফিটনেস ভিডিও বা অ্যাপ থেকে ওয়ার্কআউট রুটিন অনুসরণ করা।
নতুন কিছু শিখুন : নতুন কিছু শেখার জন্য অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন। যেমন রান্না করা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, পেইন্টিং বা সাঁতার কাটা ইত্যাদি। আপনার সময়টুকুই এখানে সবচেয়ে দামি। নতুন কিছু শেখার কাজটি আপনার সম্ভাবনার দিগন্তকে প্রসারিত করতে পারে। সেইসঙ্গে এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করবে।
বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটান : বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গে গল্প করুন, আড্ডা দিন। সবার সঙ্গে বসে নতুন কোনো মুভি দেখতে পারেন। স্মৃতিচারণ করতে পারেন বা নতুন কোনো গেম খেলতে পারেন। বিনোদনমূলক এই ছোট ছোট কাজগুলো আপনাকে দীর্ঘ সময় আনন্দে রাখতে কাজ করবে।
নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিন : আপনার যেসব কাজ করণীয়, সেগুলো গুছিয়ে নিন বা তালিকা করে রাখুন। যেসব কাজ প্রয়োজন নেই বা না করলেও চলে, সেগুলো বাদ দিন। একটি গোছানো পরিকল্পনা আপনার কাজগুলো সহজ করে দেবে। এতে আপনার ওপরও কোনো চাপ আসবে না। কোনো রকম টাকা খরচ ছাড়াই আপনি এটি করতে পারবেন।