দেশীয় পণ্যে ডিজাইনার মাকসুদার স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জীবন শৈলী ডেস্ক

দেশীয় পণ্য মানেই বাঙালির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। দাওয়াতে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় অনেকেই কামিজ, কুর্তি, টপস, শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। নিজের ডিজাইনের মাধ্যমে দেশীয় সৌন্দর্য তুলে ধরে স্বপ্ন পূরণ করছেন উদ্যোক্তা মাকসুদা সিলাত। মাকসুদা সিলাত গল্পের প্রথমে বলেন, বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে আমিও যুদ্ধ করে যাচ্ছি। সংসারের পাশাপাশি কিছু করার চিন্তায় উদ্যোগ নেই ব্যবসা করার। যদিও শুরুটা ছিল খুব কষ্টের। সংসার ফেলে কীভাবে কাজ করব? তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে ছেলের স্কুলের সামনে একটা পোশাকের শপ ওপেন করি। কিন্তু প্রথম দিকে সেল ভালো হতো না। পরে যখন আস্তে আস্তে সেল বাড়তে থাকে তখন মনে সাহস পাই। তারপর নিজে পণ্য বানানো শুরু করি। যেহেতু দেশি পণ্য আমার খুব পছন্দ। তাই দেশীয় পণ্য দিয়েই যাত্রা শুরু করি। এর পর ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে ব্যবসা বড় করি। তিনি বলেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে ২০১৯ সালে ‘নিডস লাইফস্টাইল’ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে শুরু করেছি। শুরুতে যদিও আমার শোরুম ছিল না। তবে পরে গুলশানের পিংক সিটিতে একটা শোরুম দিয়েছি। কামিজ, কুর্তি, টপস, শাড়ি, পাঞ্জাবি দিয়ে শোরুমের যাত্রা শুরু করি। এভাবেই চলতে থাকে। এখন ছোট একটা ফ্যাক্টরি দিয়েছি। আমার পণ্য তৈরি করার জন্য অল্প কিছু কর্মীও রেখেছি ফ্যাক্টরিতে। যারা আমার অর্ডারের কাজগুলো অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলে। মাকসুদা সিলাতের কারখানা রাজধানীর শাহজাদপুরে। আগে অনেক কর্মী ছিল সেখানে। কিন্তু করোনাকালীন কিছু কর্মী কমাতে হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। তাই আবার কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছেন তিনি। অনলাইনেও সমান গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন এ উদ্যোক্তা। ফেসবুকে তার পেইজের নাম দিয়েছেন ‘নিডস লাইফস্টাইল’। উদ্যোক্তা জানান, তার অনেক পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। তিনি চান আরো অনেক বেশি দেশীয় পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে। সারাদেশে তার পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। বর্তমানে মাসে দুই লাখ টাকার পণ্য এখন তৈরি করছে উদ্যোক্তা। পরিকল্পনা নিয়ে মাকসুদা সিলাত বলেন, দেশের মানুষ নিজের সাধ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক যেন পায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামনে আরো ক্রেতাদের পছন্দ মতো পণ্য নিয়ে আসবে ‘নিডস লাইফস্টাইল’ মাধ্যমে। এছাড়া ব্যবসা আরো দ্রুত গতিতে বাড়াবে সেই প্রত্যাশা করেন এই উদ্যোক্তা। মাকসুদা বলেন, আমি প্রতিনিদিন কোঠর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করছি। আর ইচ্ছা আরো ইউনিক ডিজাইনার পণ্য নিয়ে আসব ক্রেতাদের সামনে। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বাইফা এ্যাওয়ার্ড এবং ওমেন ইমপ্রুভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।