ঝগড়ার পরে ...
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জীবন শৈলী ডেস্ক
ঝগড়া মানে তো আর শান্তিপূর্ণ কিছু নয়। ঠান্ডা মাথায় কেউ ঝগড়া করেও না। ঝগড়া মানেই চেঁচামেচি, বিস্তর অভিযোগ আর অহেতুক অনেক কথা। স্বাভাবিক সময়ে আপনি যে ধরনের কথা মুখে আনার চিন্তাও করেন না, ঝগড়ার সময় তাই বলে দেন কোনো কিছু না ভেবেই। আপনার কথায় হয়তো অপরদিকের মানুষটি কষ্ট পাচ্ছে ভীষণ; কিন্তু সেদিকে আপনার খেয়াল নেই। একইভাবে আপনিও কষ্ট পেতে পারেন তার কাছ থেকে। ফলে ঝগড়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়। তবে সত্যি কথা হলো, সম্পর্ক থাকলে ঝগড়াও থাকবে।
কিন্তু তা বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। সম্পর্ক ঠিক রাখতে চাইলে ঝগড়া থেমে যাওয়ার পর করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সময় নিন : ঝগড়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের মিলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে দু’জনে আলাদা বসে কিছুক্ষণ ভাবুন। মাথা ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিন। হতে পারে তা কয়েক ঘণ্টা কিংবা এক-দু’দিন পর্যন্ত। তবে বেশিদিন গ্যাপ রাখবেন না।
এতে তাকে ছাড়াই থাকার অভ্যাস হয়ে যেতে পারে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পারিক নির্ভরশীলতা থাকা জরুরি। সেটি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখন কিছুটা সময় নেবেন, তখন ঝগড়ার বিষয়বস্তু ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে আসবে। এর পর একসঙ্গে বসে সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। স্বীকার করুন নিজের দোষ : ঝগড়ার সময় হয়তো আপনিও এমন কিছু বলে ফেলেছেন যেগুলো আপনার বলা উচিত হয়নি। সেসব কথার দায় স্বীকার করুন। আপনি ভুলের জন্য যে অনুতপ্ত একথাও থাকে বুঝতে দিন। দোষ থাকলে তা স্বীকার করে নিতে হয়। এতে অনেক সমস্যা শুরুতেই সমাধান হয়ে যায়।
কথা বলুন সরাসরি : ঝগড়ার পরে দু’জনেরই মাথা ঠান্ডা হলে এক জায়গায় বসুন। এরপর সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলুন। অন্য কারও মাধ্যমে কথা না বলিয়ে নিজে বলাই ভালো। আপনার যা কিছু বলার তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। সেইসঙ্গে তার কথাগুলোও মন দিয়ে শুনুন। আপনার কোনো সিদ্ধান্ত জোর করে তার ওপর চাপাতে যাবেন না।
নমনীয় হোন : তার প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গী আপনাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। তার আবেগ এবং দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে চেষ্টা করুন। তারপ প্রতি সহানুভূতি দেখান এবং তার অনুভূতিও অনুভব করুন। এমনকী তা যদি আপনার সঙ্গে না-ও মেলে, তবু তার জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাবতে চেষ্টা করুন। ক্ষমা চান এবং ক্ষমা করুন : আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি ভুল করেছেন, তাহলে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আপনার কৃতকর্মের দায় নিন, অনুশোচনা প্রকাশ করুন এবং পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিন। অন্যদিকে সে ক্ষমা চাইলে তাকেও ক্ষমা করুন। ক্ষমা সম্পর্ক সারিয়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।