ফিচার

জীবন বদলে যাবে যে অভ্যাসে

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জীবনশৈলী ডেস্ক

পৃথিবী প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে চলতে পারছে দিনশেষে সেই হাসে বিজয়ীর হাসি। কিছু পরিবর্তন আনন্দের পাশাপাশি জীবনে ভারসাম্য আনে। এমন একটি জীবন সবাই চায় যেখানে ইতিবাচকতা, উৎপাদনশীলতা এবং সুস্থতা বজায় থাকে। কিছু সহজ ও সাধারণ অভ্যাস আপনাকে এমন জীবন দিতে পারে। এমন ছয়টি অভ্যাস রয়েছে যা ধারণ করতে পারলে মাত্র ৬ মাসেই আপনার জীবন বদলে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠুন : ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার নিয়ম করুন। সকালে আপনার দিনটি সতেজভাবে শুরু করুন এবং বাকি দিনটিকে ফলপ্রসূ করুন। এই অভ্যাস আপনাকে পরিকল্পনা, ওয়ার্কআউট, পড়া ইত্যাদির জন্য আরও সময় দেবে। ঘুমের সময়সূচি ঠিক করুন। শরীর এবং মনকে রিচার্জ করার জন্য প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচি শরীরের ফাংশন এবং মেজাজ উন্নত করে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন এবং বাকি দিনের জন্য পরিকল্পনা সাজান।

প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস করুন : প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস করুন। অনলাইন কোর্স নিন এবং আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা প্রসারিত করুন। অনলাইনে নতুন কোনো স্কিল শিখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় দিন। এই নতুন দক্ষতা আপনাকে পেশাগত এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং বা ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি শিখতে পারেন।

বাইরে হাঁটুন : প্রকৃতি মাঝে হাঁটা একটি বিস্ময়কর অভ্যাস যা আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অনেক উপকারী। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে তা আপনার জীবনে শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে, উদ্বেগ কমাতে পারে এবং আপনার সামগ্রিক মেজাজকে উন্নত করে তুলতে পারে। প্রতিদিন এভাবে ৩০ মিনিট হাঁটলে তা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে।

ডায়েরি লিখুন : এটি হলো আরেকটি জীবন পরিবর্তনের অভ্যাস যা অবশ্যই আপনার জীবনে যোগ করা উচিত। এই অভ্যাস জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি ফোকাস করে, যার ফলে সুখ বৃদ্ধি পায়। ঘুমানোর আগে লিখলে আপনার ঘুমের মান উন্নত হবে। আপনি আপনার চিন্তাভাবনা, যে জিনিসগুলোর জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, আপনার লক্ষ্য ইত্যাদি লিখতে পারেন। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিদিন ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন : আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। সেজন্য জিমে যোগদান করা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি বাড়িতে ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে সাঁতার কিংবা দৌড়ের মতো অভ্যাসও বেছে নিতে পারেন। এটি আপনাকে ফিট এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে।