বর্ষায় রান্নাঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব হতে পারে। এ সময়ের আর্দ্র আবহাওয়া এই পরিবেশ তৈরি করার জন্য উপযুক্ত। আমাদের দিনের একটি ভালো অংশ কাটাতে হয় রান্নাঘরে। আবার সেখানেই তৈরি হয় পরিবারের সবার জন্য খাবার। তাই রান্নাঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। নয়তো সেখান থেকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও রান্নাঘর স্যাঁতসেঁতে হলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই এই বর্ষায় রান্নাঘর রাখতে হবে পরিচ্ছন্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়-
বেসিন ও সিঙ্ক পরিষ্কার রাখুন : রান্নাঘরের বেসিন ও সিঙ্ক সব সময় পরিষ্কার করে রাখতে হবে। কারণ এই জায়গাতেই সব ধরনের ধালা-বাসন ধোয়া হয়। এঁটো-কাঁটা লেগে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে, সেইসঙ্গে ছড়াতে পারে জীবাণুও। তাই এই জায়গা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজ হয়ে গেলে লিক্যুইড সোপ দিয়ে বেসিন ধুয়ে নেবেন। সামান্য ভিনেগার ও বেকিং সোডা দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। এরপর একটি শুকনো কাপড় দিয়ে সেটি ভালো করে মুছে নেবেন। এতে আর স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকবে না। সুগন্ধি ব্যবহার করুন : রান্নাঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব সৃষ্টি হলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
এক্ষেত্রে রান্নাঘর তো পরিষ্কার করবেনই, সেইসঙ্গে সুগন্ধিও ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ রান্নাঘর পরিষ্কার করা শেষ হলে সেখানে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করে দেবেন। এতে দুর্গন্ধ দূর হবে অনেকটাই। সেইসঙ্গে দূরে থাকবে পোকা-মাকড়ও।
আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন : বর্ষাকালে রান্নাঘর স্যাঁতসেঁতে হওয়ার অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকা।
তাই রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। এতে রান্নাঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হয়ে যাবে। তাই রান্নাঘরের দরজা ও জানালা যতটা সম্ভব খোলা রাখার চেষ্টা করুন।
পানির পরিমিত ব্যবহার : অনেকে রান্নাঘরে অকারণেই পানি ছেড়ে রাখেন বা অতিরিক্ত পানি খরচ করেন। এতে চারদিকে পানি ছিটে রান্নাঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব কম পানি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। ধোয়ার কাজ একসঙ্গে সেরে ফেলবেন। এতে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা সহজ হবে।