ফিচার

পরীক্ষাভীতি দূর করতে

সুমাইয়া আক্তার

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পরীক্ষা দেয়ার কথা শুনলেই অনেক পরীক্ষার্থীর বুক ধড়ফড় করে, মুখ শুকিয়ে যায়, মাথায় ভর করে একরাশ দুশ্চিন্তা। পরীক্ষার সঙ্গে এই অস্বস্তিকর আবেগীয় অবস্থার উপস্থিতিই হচ্ছে পরীক্ষাভীতি। আবার অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো করতে চায়। কিন্তু তার সমস্যা হলো পরীক্ষার হলে গিয়ে সবকিছু ভুলে যায়। পরীক্ষার কথা মনে হলেই তার মধ্যে ভয় চলে আসে। পরীক্ষাভীতি মানেই এক ধরনের উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ। এ সময়ে সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো- অস্থিরতা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, অনিদ্রা, হাত-পা অতিরিক্ত ঘামা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া, মেজাজ খারাপ হওয়া, জানা পড়া ভুলে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া, বমি-বমি ভাব হয়। এছাড়া হজম হয় না, হাত-পা ঘামে, জ্বর এসে যায়, বারবার বাথরুমে যায়, ঘন ঘন তৃষ্ণা ও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ইত্যাদি।

করণীয় : আমাদের দেশে বিভিন্ন পরীক্ষার সিলেবাস থাকে দীর্ঘমেয়াদি। পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ না হওয়ার ফলে শুরু হয় পরীক্ষাভীতি। অনেক ছাত্রছাত্রী বিষয় নির্বাচনে ভুল করে। বিষয় কঠিন মনে হয়। এর ফলে চাপ সহ্য করতে না পেরে পরীক্ষাকে ভয় পেতে শুরু করে। পরীক্ষার আগে ভালো প্রস্তুতি না নিতে পারলেও পরীক্ষাভীতি জন্ম নেয়। কাজেই পরীক্ষা বিষয়টাকে সহজ-স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। নিজের আশা কমাতে হবে। মূলত অতিরিক্ত আশা করার কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। আশা কমলে চাপও কমবে, এতে পরীক্ষাভীতিও কমে যাবে। পরীক্ষাভীতি কাটানোর ভালো উপায় হলো আগে থেকে নিয়মমাফিক পড়া। যদি বছরের শুরু থেকেই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম করে রুটিনমাফিক পড়ালেখা করা যায় তাহলে পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা ভীতি থাকে না।