রূপশৈলী

প্রশান্তির গোসল

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জীবনশৈলী ডেস্ক

সারাদিনের হাজারো কাজের পরে শরীরের ক্লান্তি কাটানোর জন্য একটা প্রশান্তিময় গোসল দরকার। নিয়মিত গোসল না করলে ঘুমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কারণ গোসল না করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিদিনের পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে পরিচ্ছন্ন গোসল তো চাই-ই চাই। প্রতিদিন গোসল না করলে দেখা দিতে পারে নানা রকম ত্বকের সমস্যা। এছাড়া গায়ের দুর্গন্ধ তো আছেই। শুধু নামিদামি ব্র্যান্ডের সুগন্ধি লাগালেই এই দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। বরং সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রোজ নিয়ম করে গোসল করাটা খুব জরুরি। এমন অনেকেই আছেন যাদের মাঝে গোসল করার সময়ই দেখা দেয় রাজ্যের সব আলস্য। তারা মনে করেন ২-৩ দিন পর পর গোসল করলেই চলবে, প্রতিদিন শুধু স্পঞ্জ বাথ কিংবা হাত মুখ ধুলেই হবে। কিন্তু তাদের এ ধারণা একদম ভুল। যারা শীতপ্রধান দেশে থাকেন তারা রোজ গোসল না করে স্পঞ্জ বাথ নিয়ে থাকেন। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কাজে দেয়।

সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে পারলে অনেক ভালো। এতে শরীর ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি বেশ খানিকটা ব্যায়ামও হয়ে যায়। ভোরের পানি শীতল থাকে। তাই স্নানের শীতল পরশ পেতে হলে এ সময়টা বেছে নেওয়া যায়। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো। গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, চামড়া পরিষ্কার থাকে, ঘামাচিসহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয়, পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ায়, চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয়।

প্রতিদিন নিয়ম করে, বিশেষ করে গরমকালে দিনে দুইবার গোসল করা একান্ত জরুরি। যারা খেলাধুলা করে বা জিম বা নাচ করেন তারা অবশ্যই কাজের শেষে ভালো করে গোসল করে নেবেন। এতে করে যেমন শরীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে তেমনি আপনার মনও তরতাজা হয়ে যাবে। কাজের চাপে আমরা অনেকেই সকালের দিকে ভালোমতো গোসল করার সময় পাই না, তাই সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই বেশ খানিকটা সময় নিয়ে গোসল করুন। এই সময় প্রতিদিনের সব চিন্তা মন থেকে একদম সরিয়ে ফেলুন। বডি ওয়াশ বা সাবানের পাশাপাশি বাথ সল্ট ও ব্যবহার করতে পারেন। যাদের বাথরুম বেশ বড় ও বাথটাব আছে তারা একটা রিলাক্সড আবহ তৈরি করতে চাইলে গোসলের সময় হালকা করে পছন্দের গান চালিয়ে দিতে পারেন এবং সুগন্ধি মোমবাতিও জ্বালাতে পারেন। দেখবেন আপনার মুডটা একদম পাল্টে গিয়েছে।