ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঋতু

হরেক রকম মেঘে হারায় মন

হরেক রকম মেঘে হারায় মন

ছেলেবেলার মজার স্মৃতিগুলো স্মরণ করলেই মনে পড়ে আকাশের কথা। হরেক আকারের মেঘ দেখে কল্পনায় কত কিছুই না ভাবতাম আমরা। কোনো মেঘ দেখে মনে হতো ঘোড়া, আবার কোনো মেঘ দেখে মনে হতো যেন ফুল বা গাছ। আকাশের মেঘ দেখে কার কী মনে হয় তা নিয়েও চলত প্রতিযোগিতা। বর্ষার আকাশে যখন প্রচুর মেঘ জমে, তখনই অদ্ভুত সব আকৃতি দেখা যায়। এ যেন অন্য এক কল্পরাজ্য সৃষ্টি হয়। কখনো কি মনে হয়েছে মেঘের এত আকার হয় কী করে? কীভাবে এটি সম্ভব? চলুন জেনে নিই কেমন করে মেঘগুলো এমন বিভিন্ন আকৃতি তৈরি করে। এর পেছনে বিজ্ঞানই বা কী?

মেঘ কীভাবে গঠিত হয় : বাতাসে পানি সবসময় বাষ্পের আকারে থাকে। এই বাষ্প যখন কঠিন হয়ে যায় তখন এর কণাগুলো আলো বিচ্ছুরণ করে। এই আলোর কারণে আমরা সেগুলোকে মেঘের আকারে দেখতে পাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মেঘের আকৃতি কীভাবে তৈরি হয়? এর পেছনে দায়ী তাপমাত্রা, ঘনত্ব ও গতি। এসবের সমন্বয়ের কারণে আকাশে কখনো ঘোড়া, কখনো পাখি আবার কখনোবা শিশুর মতো অদ্ভুত আকৃতির মেঘ তৈরি হয়। আকাশে যে মেঘ দেখা যায় তা মূলত দুই ধরনের। প্রথমটি হলো কিউমুলাস মেঘ।

এই মেঘ দেখতে তুলোর মতো। তবে বায়ুমণ্ডলে কিউমুলাস মেঘ খুব কমই তৈরি হয়। এজন্য এগুলোকে তুলা মেঘও বলা হয়। দ্বিতীয়টি হলো কিউমুলোনিম্বাস মেঘ। যখন বাষ্প পানিতে পরিণত হয়, এই প্রক্রিয়ায় উত্তাপ তৈরি হয়। বায়ুমণ্ডলের অবস্থা যখন এর জন্য প্রতিকূল হয়, তখন এই তাপ রূপান্তরিত হয় মেঘে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ কালো। এই মেঘ বৃষ্টি মেঘ নামেও পরিচিত।

ছোট মেঘকে কী বলা হয় : আকাশে প্রায় অনেক উঁচুতে ছোট ছোট মেঘ দেখা যায়। এগুলো ছোট গুচ্ছের মতো থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মেঘগুলো আকাশে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত থাকে। কখনো কখনো এগুলো ১৮,০০০ মিটার উচ্চতায়ও তৈরি হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত