কুশন-পর্দা-চাদরে রঙের খেলা : সামান্য রং বদলেও অনেকসময় অন্দরসজ্জার লুক বদলে যায়। পর্দা, চাদর, কুশন কভার কেনার সঙ্গে রঙের দিকে নজর দিন। দুটি রঙিন পর্দার মাঝে একটি স্বচ্ছ পর্দা ব্যবহার করুন। ঘরের মেঝেতে রাখুন একটি রঙিন রাগ বা কার্পেট। বদলে যাবে ঘরের চেহারা।
ওয়ালপেপারের খেল : দেওয়ালে রং করাতে গেলে লাগবে বাড়িওয়ালার অনুমতি। সঙ্গে বাড়তি খরচ আর ঝক্কি তো আছেই। এসব ঝামেলা এড়াতে ওয়ালপেপার দিয়েই সাজান ঘরের দেওয়াল। তবে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে যেন ওয়ালপেপার মানানসই হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আলো-আঁধারির সমন্বয় : দেওয়ালজুড়ে লাগিয়ে নিন বড় একটি আয়না। এই আয়নার চারপাশ বরাবর লাগান টেপ লাইট কিংবা মরিচ বাতি। এতে ঘর দেখতে বড় লাগবে। সেইসঙ্গে বাড়বে শোভাও। খাটের পাশের ছোট্ট টেবিলে রাখতে পারেন ডিজাইনার ল্যাম্পশেড। কাঁচের বয়ামে টুনি লাইট ভরেও ঘর সাজাতে পারেন। আলো আর আঁধার মিলে রোম্যান্টিক আবহ সৃষ্টি করবে।
সবুজ হোক সঙ্গী : গাছকে পরম বন্ধু বলা হয়। এমন অনেক গাছ রয়েছে যা ঘরে রাখলে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে সৌন্দর্য তো আছেই। ঘরের কোণে থাকা কর্নার টেবিল, দেওয়াল, টুল কিংবা জানালার কিনারে একচিলতে সবুজ দেখলে যেমন চোখের আরাম হয় তেমনি মন থাকে তরতাজা। অর্কিড, স্নেক প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, ল্যাভেন্ডার, ক্যাকটাস বা পছন্দের গাছ দিয়ে সাজান ঘর।
একটু বদল : ঘরের লুক বদলাতে আলমারির হ্যান্ডেল বা ড্রেসিং টেবিলের হাতলগুলো বদলে ফেলতে পারেন। বিছানার পাশের টেবিলে নতুন শোপিস বসাতে পারেন। ছোট ছোট বদলেও ঘরটি হয়ে উঠবে কল্পরাজ্য।
একেকজনের পছন্দ একেক রকম। তাই অন্যরা কীভাবে ঘর সাজিয়েছে তা নিয়ে না ভেবে নিজের পছন্দমতোই ছোট্ট ভুবন সাজান। ঘর হোক প্রশান্তির স্থান।