দিন যত যাচ্ছে মানুষের বয়স আর কাজের চাপ তত বাড়ছে। আর এই চাপের কারণে অনেকের স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানীয় ক্ষমতা লোপ পাচ্ছে। দক্ষতার সঙ্গে দৈনন্দিন কাজগুলো করা, চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানীয় ক্ষমতা খুবই জরুরি।
হাঁটাচলা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: আপনি যদি সকাল-বিকাল নিয়মিত হাঁটেন, তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে। গবেষণায় এটি প্রমাণিত। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা নিয়মিত হাঁটতে বের হন। কোনো বাক্য বা উক্তি আপনি যদি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করেন, তবে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস বেছে নিন: যেসব খাবার খুব পছন্দের সেগুলো খেলে মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড এরিয়ায়’ ডোপামিন রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মনে খুশির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তবে মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীবের বসবাস।
খুঁজে নিন অবসর: স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে বিপদের সময় কিংবা দুঃখের সময় পরিস্থিতিকে সামলানোর মানসিক শক্তি পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ।
কল্পনার দুনিয়ার শরিক হোন: কল্পনাশক্তি শুধু মনকেই নরম করে না, স্মৃতিকেও ক্ষুরধার করে। তাই শিশুদের সঙ্গে সময় দিন, তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠুন। রূপকথার গল্প পড়ার ফাঁকে নিজের কল্পনাকেও ঝালিয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে।