নকিব হাসান ফটোগ্রাফার থেকে সফল উদ্যোক্তা
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এ প্রজন্মের সফল তরুণ নকিব হাসান। নিজের স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় শখ করে বেছে নিয়েছিলেন ফটোগ্রাফিকে। পরে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ২০১৭ সাল থেকে ‘এভারঅন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ৭ বছরে নিজেকে তৈরি করলেন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। তার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন জীবনশৈলী।
ফটোগ্রাফির শুরুটা কীভাবে?
২০১৫ সালে শখ থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করি। কারো ভালো মোবাইল ফোন হাতে পেলেই ছবি তুলতাম। এখনও ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্যাশন। প্রতিটি ক্লিকেই একটি গল্প বলার চেষ্টা করি। এভাবেই সমৃদ্ধ হচ্ছে আমার ছবির গল্প।
ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে চামড়াজাত পণ্যের উদ্যোক্তা হলেন কীভাবে?
ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে সবসময় শখের জায়গা। তাই প্যাশনটাকে প্রফেশন করতে চাইনি। যাতে কাজের চাপে শখটাতে কখনই বিরক্ত না আসে।
ওয়ালেট, বেল্ট ছাড়া আর কি কি আইটেম তৈরির পরিকল্পনা আছে আপনার?
এখন শুধু ওয়ালেট, বেল্ট নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হলেও খুব শিগগিরই সবধরনের ধরনের চামড়াজাত পণ্য ? ‘এভারঅন’-এ যুক্ত হবে।
কীভাবে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে জড়ালেন?
২০১৭ সাল থেকে ‘এভারঅন’-এর যাত্রা শুরু। তখন অন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের রিসেলার হিসেবে অনলাইনে বিক্রি করতাম। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। করোনা মহামারিতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নতুন উদ্যমে ‘এভারঅন’ নিয়ে পথচলা শুরু হয়। চামড়াজাত পণ্য নিয়ে কাজ করা আমার কাছে খুব ক্রিয়েটিভ এবং প্রিমিয়াম মনে হয়।
ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
৫ বছর পর ‘এভারঅন’-কে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চামড়াজাত পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে নিয়ে যেতে চাই। চামড়াজাত যেকোনো পণ্য কিনতে হলে সবার মাথায় যেন প্রথমেই ‘এভারঅন’-এর নামটা আসে। দেশের বাইরে ‘এভারঅন’-এর পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা আছে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় একটি আউটলেট আছে। আমরা ঢাকায় আরো কয়েকটি আউটলেট খোলা হবে। ঢাকার বাইরেও ‘এভারঅন’-এর আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।