মস্তিষ্ক ভালো থাকে যে অভ্যাসে
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জীবনশৈলী ডেস্ক
বয়স বাড়ার সাথে সাথে কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো রাখাটাও প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। শরীরের অন্যান্য অংশের মতো, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
শারীরিক কার্যকলাপের গুরুত্ব : ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্যই নয়, মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, নতুন নিউরণের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। জার্নাল অব আলঝেইমার ডিজিজে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকেন তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কম থাকে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করুন। যেমন- হাঁটা বা সাইকেল চালানো।
মস্তিষ্কেরও যথেষ্ট বিরতি প্রয়োজন : স্মৃতিশক্তি, সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মস্তিষ্কের ফাংশনগুলোর জন্য ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়, মস্তিষ্ক স্মৃতিকে একত্রিত করে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে। গবেষণা অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ভালোভাবে কাজ করার জন্য প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয় না। এর ফলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এজন্য ঘুমের একটি রুটিন তৈরি করুন।
মস্তিষ্ক সচল রাখার চেষ্টা করুন : মস্তিষ্ককে সচল রাখতে নানা ধরনের কাজে মস্তিষ্ককে যুক্ত রাখুন। বিভিন্ন কার্যকলাপ যেমন- ধাঁধা মেলানো, বই পড়া, নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উদ্দীপক কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
মেডিটেশন : মেডিটেশন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত এই অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে, মনের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রতিদিন মেডিটেশনের অভ্যাস করুন, কয়েক মিনিটের জন্য হলেও এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া