ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাউটার আমদানিতে ‘জালিয়াতির’ চেষ্টা বিসিএস মহাসচিবের কোম্পানির

রাউটার আমদানিতে ‘জালিয়াতির’ চেষ্টা বিসিএস মহাসচিবের কোম্পানির

রাউটার আমদানি করতে গিয়ে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতির’ আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) মহাসচিবের কোম্পানির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কোম্পানির নাম ‘সাউথ বাংলা কম্পিউটার্স’। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রোপাইটর বা স্বত্বাধিকারী রয়েছেন কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, যিনি বিসিএসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব। এরই মধ্যে কোম্পানিটিকে জরিমানা করা হয়েছে ও ভবিষ্যতে আবার এমন হলে লাইসেন্স বাতিলের সতর্ক করা হয়েছে। রাউটারের তথ্য, সক্ষমতা যাচাই এবং এ বিষয়ে সাউথ বাংলা কম্পিউটার্সের কার্যক্রম দেখে বিটিআরসি বলছে, ‘প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কমিশনকে ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করেছে।’ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি এবং ঘটনাটি ভুল করে হয়েছে।’

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাউথ বাংলা কম্পিউটার্স বিটিআরসির কাছে টেন্ডা (Tenda) ব্র্যান্ডের ৪৭ হাজার ৪৩৮টি রাউটার এবং এর অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানির অনাপত্তির আবেদন করে। সঙ্গে ?আমদানি করতে চাওয়া এসি৫, এসি১০ এবং এফ৬ মডেলের বিস্তারিত তথ্যও দেয় তারা।

বিটিআরসি প্রাথমিকভাবে দেখে যে, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টেন্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এসি১০ ও এফ৬ মডেলের তথ্যে আইপিভি৬ ফিচার নেই; কিন্তু আবেদনে দাখিল করা তথ্যে আইপিভি৬ ফিচার আছে বলে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছে। এরপর সাউথ বাংলাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিটিআরসি। নোটিশের জবাবে প্রতিষ্ঠানটি ভুল স্বীকার করে এবং ওয়েবসাইটের তথ্য আপডেট করার কথা জানায়। তখন বিটিআরসি দেখে যে, ওয়েবসাইটের তথ্য আপডেট করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে সন্দেহ করে বিটিআরসি। তারা রাউটারের সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য এফ৬ মডেলটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) কাছে পাঠায়। আইএসপিএবি পরীক্ষার পর তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এফ৬ মডেলটি আইপিভি৬ এ কাজ করে না। আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, ‘তাদের কাছে রাউটার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারা কোনটি কোন স্পেসিফিকেশনে কাজ করে তা জানিয়ে দিয়েছেন।’ তিনি জানান, ‘এখন আইপিভি৬ ছাড়া রাউটার আমদানি করা যায় না।’

আর এর পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি জানতে পারে যে, প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়েছে এবং রাউটারটি আইপিভি৬ এ সক্রিয় না হওয়ার পরও আমদানির অনুমতির চেষ্টা করেছে। বিটিআরসির স্পেকটাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জুয়েল জানান, ‘কোম্পানিটি ভুল স্বীকার করেছে এবং এটা প্রথমবার বলে আমরা জরিমানা ও সতর্ক করেছি।

এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা ম্যাসেজ। ভবিষ্যতে যেন এমনটা কেউ না করেন।’ ‘বিটিআরসি আইএসএম (ইন্ডাস্ট্রিয়াল, সাইন্টেফিক এবং মেডিকেল ) ফ্রিকোয়েন্সির রাউটার আমদানির অনাপত্তি দিয়ে থাকে। এ রাউটার এখন হয় আইপিভি৬ অথবা একসঙ্গে আইপিভি৪ ও আইপিভি৬ ফিচারের হতে হবে। শুধু আইপিভি৪ আমদানি করা যাবে না।’ উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র : টেকশহরডটকম।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত