ক্রিয়েটরদের নিয়ে বাংলাদেশে টিকটকের প্রথম ডিজিটাল সেফটি ইভেন্ট
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজী মুনছুর আজিজ
বৈশ্বিক বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশে তাদের প্রথম ইভেন্ট আয়োজন করেছে ২৫ জানুয়ারি। দেশের টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল সেফটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ ইভেন্ট আয়োজন করেছে। টিকটক প্ল্যাটফর্মটি এরইমধ্যে উদ্ভাবনী ও বৈচিত্র্যময় কমিউনিটির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেজন্য দিন দিন ব্যবহারকারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দিতে #সেফারটুগেদার ক্যাম্পেইন চালু করেছে। ক্রিয়েটরদের নিয়ে এ আয়োজনে ছিল অনলাইন সেফটি বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা। প্যানেল আলোচনায় দেশের জনপ্রিয় তারকা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন এডুকেটর আয়মান সাদিক, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান, সাবেক মিস বাংলাদেশ পিয়া জান্নাতুল, লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা ও অভিনেত্রী নীল হুরেরজাহান বীথি। প্যানেল আলোচনায় ডিজিটাল সেফটির বিভিন্ন দিক যেমন- ভুল তথ্য, হয়রানি ও সাইবার বুলিং, ইন্টারনেটের দায়িত্বশীল ও নিরাপদ ব্যবহার, নিরাপদ কনটেন্ট তৈরি নিয়ে আলোচনা করেন। অতিথিরা উপস্থিত ক্রিয়েটরদের দিকনিদের্শনা ও টিপস দেন কীভাবে তারা টিকটকে নীতিমালা মেনে সুন্দর সব কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে একজন নিরাপদ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারেন।
আয়োজন নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিরেক্টর জেনারেল, সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমি এ সময়োপযোগী প্রচারণার ব্যবস্থা করার জন্য টিকটককে ধন্যবাদ জানাই। বিষয়বস্তু নির্মাতাদের অবশ্যই দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করে এমন ভালো বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। আমাদের অবশ্যই ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ও দেশের প্রতিভার প্রতিনিধিত্ব করে এমন বিষয়বস্তু তৈরিতে কাজ করতে হবে।
আয়মান সাদিক বলেন, এ প্যানেল আলোচনায় আমরা হেসেছি, ডিজিটাল স্পেসে আমাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেছি।
পিয়া জান্নাতুল বলেন, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমি মনে করি যে, ডিজিটাল মিডিয়াতে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় দায়িত্বশীল হওয়া ও সতর্কতা অবলম্বন করা আমাদের উপর নির্ভর করে। জামাল ভূঁইয়া বলেন, আমরা প্রায়শই দেখতে পাই যে, শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরই নয়, অন্যদের দিকেও মানুষ এমন অনেক মন্তব্য ছুড়ে দেয়, যা আমাদের নিরাশ করে বা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আমি আশা করি, এ প্যানেল আলোচনা সেশনের মাধ্যমে, আমরা সাইবার বুলিংয়ের প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে পেরেছি ও আমরা এ ধরনের আচরণগুলো চিনতে ও তাদের সংশোধন করতে সক্ষম হব।