দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর নতুন সংগঠন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে। ২৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী সংগঠনের লাইসেন্স প্রদান করেন। লাইসেন্স গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি ও ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা। এরই মধ্যে ১১টি মোবাইল কারখানা এ সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। কারখানাগুলো হলো- ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স (স্যামসাং), এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ (সিম্ফনি), কার্লকেয়ার টেকনোলজি (আইটেল, টেকনো), ইউনিয়ন টেকপার্ক (নকিয়া), গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন (লাভা), লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স (লিনেক্স, বেঙ্গল), বেনলি (অপো, রিয়েলমি), বেস্ট টাইকুন (ভিভো), বাংলাট্রনিক্স, আলামিন ব্রাদার্স (ফাইভ স্টার) ও মাইসেল। এর বাইরে কোনও মোবাইল কারখানা থাকলে বা স্থাপিত হলে তাকেও নতুন এ বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২-এর ২১ ধারা মোতাবেক এ বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হতে হবে বলে ৩০ জানুয়ারি সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আরও জানানো হয়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল ওই আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংগঠনটি নতুন আইনের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের বাজার বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার। দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। ২০১৭ সালে দেশে সরকারের প্রণোদনায় প্রথম মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়। এরপর স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড তাদের কারখানা স্থাপন করে। নতুন সংগঠনের মাধ্যমে সবার এক প্ল্যাটফর্মে কাজ করা ও সেক্টরটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ আরও সুগম হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।